YECHURY SBI ELECTORAL BOND

নির্বাচনী বন্ড প্রসঙ্গে ইয়েচুরি: আদালত অবমাননার মুখে পড়বে স্টেট ব্যাঙ্ক

জাতীয়

‘‘সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ, বুধবারই। স্টেট ব্যাঙ্ক আজকের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে তথ্য না দিলে আদালত অবমাননার দায়ে পড়বে।’’
নির্বাচনী বন্ডে লেনদেনের তথ্য চাপার প্রতিবাদে বুধবার এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। 
নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক এবং অস্বচ্ছ ঘোষণা করে বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কোন দল কার থেকে কত টাকা পেয়েছে, সেই তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জানানোর নির্দেশও দেয় শীর্ষ আদালত। ৬ মার্চ শেষ হচ্ছে সময়সীমা। কমিশনকে ১৩ মার্চের মধ্যে দেশবাসীর জন্য তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেয় কমিশন।
রায়ের প্রায় ১৮ দিন বাদে, সময়সীমা শেষ হওয়ার দু’দিন আগে, স্টেট ব্যাঙ্ক ৪ মার্ষ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দায়ের করে। আবেদনে বলে যে সময়সীমা পিছিয়ে ৩০ জুন করা হোক। যার অর্থ, লোকসভা নির্বাচনের আগে কোন কোন কর্পোরেট বিজেপি এবং তৃণমূলের মতো দল, নির্বাচনী বন্ডে যারা সবচেয়ে সুবিধা পেয়েছে, তাদের লেনদেনের এই তথ্য বের হবে না। 
সিপিআই(এম) স্টেট ব্যাঙ্ককে দিয়ে তথ্য চাপার এই কৌশলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। দায়ী করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই। তাঁর মেয়াদেই ২০১৮’তে চালু হয় গোপন লেনদেনের এই ব্যবস্থা। অতীতে সব তথ্য বের করা হতো। স্টেট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বন্ড চালু করে তথ্য জানানোর অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ে তথ্যের অধিকার আইন ভাঙার জন্যও দায়ী করেছে নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থাকে। 
ইয়েচুরি এদিন বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে বন্ড বাতিলের রায় দিয়েছিল। কারা বন্ড কিনে কোন পার্টিকে কত টাকা দিয়েছে সেই তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল সময়সীমা বেঁধে।’’
ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘নির্বাচনী তহবিলে অর্থ দেওয়ার বিনিময়ে দাতাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়েই সেই শঙ্কা জানানো হয়েছিল। শঙ্কা যে ঠিক বোঝা যাচ্ছে স্টেট ব্যাঙ্কের তৎপরতায়।’’
স্টেট ব্যাঙ্কের যুক্তি প্রায় ৪৪ হাজার লেনদেনের তথ্য দিতে হবে। এই কাজ সময়সাপেক্ষ। এখানেই প্রশ্ন তুলছে বহু অংশ। প্রশ্ন, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়ার’ স্লোগান তা’হলে ভুয়ো। সংশ্লিষ্ট অংশের বক্তব্য, এর চেয়ে অনেক বেশি মাত্রারর লেনদেনের তথ্য ব্যাঙ্কে প্রতিদিন ডিজিটাল ব্যবস্থায় নথিভুক্ত থাকে। নির্বাচনী বন্ড লেনদেন হওয়ার কথা ডিজিটাল ব্যবস্থাতেই। সেক্ষেত্রে তথ্য পাঠানো কেবল আঙুল ছোঁয়ার অপেক্ষা। স্টেট ব্যাঙ্কের যুক্তি অসত্য।

Comments :0

Login to leave a comment