CPI(M)

মেরুকরণের কৌশলে সিএএ, বলল কেন্দ্রীয় কমিটি

জাতীয়

CPIM TMC BJP AIKS WEST BENGAL PANCHAYAT ELECTION WEST BENGAL POLITICS 2023 BENGALI NEWS

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পাশ হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। পাঁচ বছরেও আইন প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় বিধি তৈরি করেনি বিজেপি। ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনের মুখে বলা হচ্ছে সাত দিনে আনা হবে বিধি। আসল উদ্দেশ্য, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের পরিস্থিতিকে আরও তীক্ষ্ণ করতে সিএএ’কে ব্যবহার করা হবে।

কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠকের পর মঙ্গলবার বিবৃতিতে বিজেপি’র সিএএ প্রচারকে এই মর্মে আক্রমণ করেছে সিপিআই(এম)। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসও ভোটের আগে সিএএ নিয়ে ভয় দেখাতে নেমেছে।

এদিন তিরুবনন্তপুরমে ইএমএস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘পূর্ব ভারতে এই কৌশল কাজে লাগাতে বাড়তি জোর দিচ্ছে বিজেপি। কারণ বহু মানুষ দেশভাগের পর উদ্বাস্তু হয়ে এসেছেন। এই পুরো বিষয়টিকে নতুন করে নাড়াচাড়া করা হবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির লক্ষ্যে।’’ 

এই উদ্দেশ্য প্রতিহত করবে সিপিআই(এম), বলেছেন ইয়েচুরি। তিনি জানিয়েছেন ‘ইন্ডিয়া’র আসন সমঝোতার কাজ দ্রুত চূড়ান্ত হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি’ পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধেও লড়বে সিপিআই(এম)। 

এদিন বিবৃতিতে বিজেপি বিরোধিতার ঘোষণায় গঠিত মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’ প্রসঙ্গেও বলেছে সিপিআই(এম)। ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘রাজ্যে রাজ্যে পরিস্থিতি অনুযায়ী আসন বোঝাপড়া হবে। আসন বোঝাপড়ার আলোচনা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। দু’সপ্তাহের মধ্যে তার চেহারা স্পষ্ট হবে।’’ 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের প্রাধান্য হবে দলগুলির মধ্যে রাজ্যওয়াড়ি বোঝাপড়া দৃঢ় করে আসন সমঝোতার কাজ যত দ্রুত সম্ভব সেরে ফেলা। তারপর ঐক্যবদ্ধ ভাবে সংবিধানের মৌলিক ধারণাকে রক্ষা এবং জীবন জীবীকার মূল ইস্যুগুলিকে নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। 

ইয়েচুরি স্পষ্ট করেছেন যে বিজেপি’কে হটানোই মুখ্য উদ্দেশ্য পার্টির। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে লড়াই হবে তৃণমূলের সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাসের রাজনীতি, দুর্নীতি এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে বাংলার যুব সমাজ রুখে দাঁড়াচ্ছে। তৃণমূলের ত্রাসের রাজত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যার ষড়যন্ত্র সাংবিধানিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করছে। আমরা সাংবিধানিক মূল্যবোধকে বাঁচানোর লড়াই করছি। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব। আমাদের লক্ষ্য বিজেপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতা ও সরকার থেকে থেকে দূরে রাখা। একইসঙ্গে আমরা তৃণমূলকে পরাস্ত করার লক্ষ্যেও লড়ছি।’’

কেরালার এলডিএফ সরকারের নেওয়া নব কেরালা সাদাস কর্মসূচির উল্লেখ করেছে সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটি। 

একইসঙ্গে বিবৃতিতে কেরালার রাজ্যপালের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল তাঁর পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তিনি সমস্ত সীমা অতিক্রম করে নির্বাচিত সরকারকে আক্রমণ করে চলেছেন। 

একইসঙ্গে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের স্বৈরাচারী ভূমিকারও তীব্র নিন্দা শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে। সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটি বলেছে, ত্রিপুরা জুড়ে ফ্যাসিবাদী কায়দায় আক্রমণ চালাচ্ছে বিজেপি। এরফলে রাজ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব কিনা, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিজেপির তরফে সিপিআই(এম)’কে আক্রমণের নিশানা করা হলেও প্রয়োজনমত প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে। 

Comments :0

Login to leave a comment