SFI

এসএফআইয়ের আন্দোলনের চাপে মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন গুলোয় চলবে বাড়তি ট্রেন ও বাস

রাজ্য

এসএফআইয়ের আন্দোলনের জেরে মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরু আগে ও শেষের পরে অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেন চালানোর কথা জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ থেকে এনবিএসটিসির কাছে আবেদন করা হয় গ্রামীণ স্কুল প্রতি একটি করে বাস চালানোর। সেই দাবিও মেনে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সু বন্দোবস্তের দাবি নিয়ে বুধবার শিয়ালদহ ও হাওড়ায় ডিআরএম অফিসে ডেপুটেশন দেয় এসএফআই’র রাজ্য কমিটি। উত্তরবঙ্গের  পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের বন্দোবস্তের দাবি নিয়ে এনবিএসটিসি’র দপ্তরেও এদিন এই ডেপুটেশন প্রদান করা হয়েছে। এদিন শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনে এই ডেপুটেশন প্রদান করে ট্রেন সংখ্যা বাড়ানো ও পরিবহনের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের বিশেষ ছাড়ের দাবিও তুলেছেন এসএফআই নেতৃবৃন্দ। এদিন শিয়ালদহে ডিআরএম অফিসে ডেপুটেশন দিতে গেলে বাধার সন্মুখীন হন এসএফআই নেতৃবৃন্দ। ডিআরএম অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয় পাবলিক অফিসে এভাবে চার পাঁচজনকে ঢুকতে দেওয়া যাবেনা। এর পরেই  বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এসএফআই কর্মীরা। এসএফআই’য়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে এনিয়ে বলেন, ‘‘রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের  সুবিধার স্বার্থেই এই ডেপুটেশন প্রদান কর্মসূচি আমরা নিয়েছি, তাছাড়া পাবলিক অফিসে কেন ঢোকা যাবেনা?’’ পরে অবশ্য এসএফআই কর্মীদের বিক্ষোভের চাপে ডিআরএম ডেপুটেশন  নিত বাধ্য হন। তিনি এসএফআই’য়ের ক্ষোভের মুখে পড়ে শিয়ালদহ নর্থ, সাউথ ও বনগাঁ শাখায় পরীক্ষার কদিন বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা  করার আশ্বাস দেন। তাছাড়া পরীক্ষার ক’দিন গেলোপিন ট্রেন গুলো সব স্টেশনেই দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন শিয়ালদহ শাখার ডিআরএম বিনোদ কুমার। এদিন  হাওড়া শাখাতেও দেপুটেশন দিয়ে পরীক্ষার ক’দিন বিশেষ ট্রেন ও পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়ার আবেদন করেছেন এসএফআই নেতৃবৃন্দ। উত্তরবঙ্গের পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এদিন এনবিএসটিসি’র  দপ্তরে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। বাসের সংখ্যা বড়ানো, পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড় ও গ্রামীন এলাকার স্কুলগুলোর জন্য একটি করে বাড়তি বাসের ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়েছেন এসএফআই নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য,  দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা প্রথা ভেঙে মমতা ব্যানার্জির সরকার এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচি  বেলা বারোটার বদলে সকাল সাড়ে ন’টায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন এসএফআই নেতৃবৃন্দ।

ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকানন লেভেল ক্রসিং সকালে পর পর ট্রেন পারাপারের জন্য প্রায়শই গেট পড়ে থাকে। পাশাপশি, রেলওয়ে সাইডিং (র‍্যাক) এর কাজ চলতে থাকলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়, যা পরীক্ষার্থীদের যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলবে। এই মর্মে পরীক্ষার দিনগুলিতে যাতে সঠিকভাবে লেবেল ক্রসিং এর গেট নিয়ন্ত্রিত হয় এই অনুরোধ জানিয়ে বুধবার এসএফআই ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার এর নিকট একটি ডেপুটেশন কপি জমা করা হয়।

 

Comments :0

Login to leave a comment