বৃহস্পতিবার, কলকাতা লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয় ইস্টবেঙ্গল বনাম ভবানীপুর। এই ম্যাচে ভবানীপুরের বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্ট করল লাল হলুদ, ফলাফল ১-১।
ম্যাচের শুরু থেকেই লড়াই বেশ জমে ওঠে। ভবানীপুর শুরু থেকেই বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে আনে এবং প্রায় গোলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে সক্ষম হয় তাঁরা। জবি জাস্টিনের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত না হলে, তখনই গোল পেয়ে যেতে পারত ভবানীপুর। তবে ইস্টবেঙ্গলও পাল্টা আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করে।
কিন্তু হাল ছাড়েনি ভবানীপুর। ম্যাচের ৩০ মিনিটে, সুভাষ সিংঘামের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রঞ্জন চৌধুরীর ছেলেরা। অন্যদিকে, ফার্স্ট হাফ শেষ হওয়ার একটু আগে একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে লাল হলুদ। শেষপর্যন্ত প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ফলাফল নিয়েই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একটি পরিবর্তন করেন ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। ভ্যান্সপলের বদলে মাঠে আসেন সৌভিক চক্রবর্তী। ফল মেলে হাতেনাতে। ৫৪ মিনিটের মাথায় দীপ সাহার গোলে সমতা ফেরায় লাল হলুদ ব্রিগেড। ভবানীপুর পেনাল্টি বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে হেড করেন কূুশ ছেত্রী। সেই হেড কোনও রকমে বাঁচান ভবানীপুরের গোলরক্ষক। ফিরতি বল জালে ঠেলেন দীপ। এরপর ভবানীপুর দলেও একটি পরিবর্তন আসে। সুভাষ সিংঘামের বদলে মাঠে আসেন শুভ ঘোষ।
দ্বিতীয়ার্ধে তুল্যমূল্য লড়াই কিছুটা বেশি চোখে পড়ে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমাগত আক্রমণ তুলে আনতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। এরপর আরও দুটি পরিবর্তন করেন ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। কুশ ছেত্রী এবং তন্ময় দাসের পরিবর্তে মাঠে আসেন মহম্মদ রোশাল এবং জেসিন টিকে। তবে গোলের দরজা আর খুলতে পারেনি কোনও দলই। শেষপর্যন্ত ১-১ ফলাফল নিয়ে শেষ হয় ম্যাচ।
এদিন ম্যাচ শেষে মাঠ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন ভবানীপুর দলের কোচ রঞ্জন চৌধুরী। ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি। উড়ে আসে বোতল, আহত হন এক পুলিশকর্মী।
এখনও অবধি কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের বি গ্রুপে ১২টির মধ্যে ৭টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। ৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে লাল হলুদ।
Comments :0