এদিন ম্যাচ জুড়ে অজস্র সুযোগ নষ্ট করেন বিনো জর্জের ছেলেরা। আক্রমণভাগ থেকে শুরু করে মাঝমাঠ হয়ে রক্ষণ- বোঝাপড়ার অভাব স্পষ্ট হয়েছে প্রতি মিনিটে। আর হবে নাই বা কেন? লিগের প্রথম ম্যাচে নামার কয়েকদিন আগেও ফুটবলারদের ট্র্যায়াল নিতে দেখা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। পরিস্থিতি সামলাতে এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ বিমল ঘোষের উদ্যোগে কয়েকজন তৈরি ফুটবলারকে কলকাতা লিগের জন্য সই করায় ইস্টবেঙ্গল। ট্র্যায়াল এবং প্র্যাক্টিস ঘিরেও অব্যবস্থার অভিযোগ ওঠে।
সেই সমস্ত অভিযোগ যথার্থতা প্রমাণ করল বৃহস্পতিবারের ম্যাচের রেজাল্ট। রেইনবো’র ফুটবলারদের অভিজ্ঞতা কিছুটা বেশি থাকলে আজ ম্যাচ হারতেও পারত ইস্টবেঙ্গল।
এদিনের ম্যাচে যদিও নজর কেড়েছেন ইস্টবেঙ্গলের কুশ ছেত্রী। আইএসএল’র দলের জন্য তাঁর নাম বিবেচনা করতেই পারে ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। অপরদিকে ম্যাচ চলাকালীন ঘাড়ে চোট পান ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র।
প্রথমার্ধের ২০ মিনিটের মাথায় মাঠ ছাড়েন তিনি। রেইনবো’র একটি আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে সতীর্থ অতুল উন্নিকৃষ্ণণের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় আদিত্য’র। চোটের তীব্রতায় তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ থেকেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
এদিনের ম্যাচের পরে ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ জানিয়েছেন, ‘‘সবে প্রথম ম্যাচ। আমরা অনেক পরে অনুশীলন শুরু করেছি। সময় পেলেই দল ভালো ফল করবে। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতেই মাঠে নেমেছি।’’
ইতিমধ্যেই দারুণ ছন্দে লিগ শুরু করেছে মোহনবাগান এবং মহামেডান। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও আশা করেছিলেন, প্রথম ম্যাচ থেকেই মশাল জ্বলতে শুরু করবে। তারফলে এদিনের ম্যাচের টিকিটের চহিদাও ছিল তুঙ্গে। বুধবার রাত অবধি ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পাননি বহু সমর্থক। যদিও সেই প্রত্যাশা পূরণের ধারকাছ দিয়ে যেতে পারলনা ইস্টবেঙ্গল।
প্রসঙ্গত, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুই দলই কলকাতা ফুটবল লিগে নিজেদের রিজার্ভ এবং যুবদলকে খেলাচ্ছে।
Comments :0