মিশরের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ড এবং মিশরের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী রাফা সীমান্ত চৌকি পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। ব্যবসায়ীক কারণে আংশিক খোলা রয়েছে। যদিও ইজরায়েলের বোমা বর্ষণের ফলে স্থল বন্দরটির গাজা’র দিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিশর দাবি জানিয়েছে, ইজরায়েল সীমান্ত বন্দরে বোমা বর্ষণ বন্ধ করুক, যাতে দ্রুত মেরামত করে গাজায় ত্রাণ পৌঁছনোর কাজ শুরু করা যায়।
এল-আরিশ বিমানবন্দর থেকে রাফা সীমান্তের দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার। মিশর জানিয়েছে, তাঁরা কাতার, জর্ডানের মত দেশের প্যালেস্তাইনের জন্য পাঠানো ত্রাণ এই বিমানবন্দরে গ্রহণ করতে প্রস্তুত। কিন্তু শিশুদের জন্য দুধ, পানীয় জল, ওষুধ, স্বাস্থ্য সামগ্রী সহ অন্যান্য জরুরি পণ্য গাজায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সুরক্ষিত করিডোর প্রয়োজন, যেখানে ইজরায়েল হামলা চালাবে না। সেই করিডোর তৈরি না হওয়া অবধি গাজায় ত্রাণ পাঠানো সম্ভব নয় বলে মিশরের দাবি।
বৃহস্পতিবার মিশরের বিদেশমন্ত্রী সামেহ শৌকরি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আন্তর্জাতিক আইনকে লঙ্ঘন করে গাজায় সাধারণ মানুষের উপর বোমাবর্ষণ চলছে। কোনও যুক্তিতেই সাধারণ মানুষকে হত্যা করা, অবরুদ্ধ করে রাখা, পানীয় জল, ওষুধ, বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া মেনে নেওয়া যায়না।
প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ২ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ইজরায়েলের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৩০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গুরুতর আহতের সংখ্যা ৩,৩০০। অপরদিকে গাজা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইজরায়েলের বিমান হানায় ১২০৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ হাজার সাতশো’র বেশি মানুষ।
ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্যালেস্তাইন গঠনের দাবিকেও সমর্থন জানিয়েছে মিশর। শনিবার থেকে গাজায় হামাস-ইজরায়েল সংঘাত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার মিশরের রাষ্ট্রপতি আব্দেল ফাতেহ আল-সিসি বলেছিলেন, আমাদের আশা আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সূত্র মিলবে এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্বাধীন প্যালেস্টাইন গঠিত হবে।
Comments :0