Dhupguri byelection

ভোটের কয়েক ঘন্টার আগে দলবদল প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের

রাজ্য জেলা

গতকাল তিনি অভিষেক ব্যানার্জিকে উত্তরীয় পরিয়ে মঞ্চে স্বাগত জানিয়েছেন। রবিবার সকালে সেই মিতালি রায় বিজেপিতে যোগ দিলেন। মিতালি রায় ধুপগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। ২০২১ সালে বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়ের কাছে হারেন তিনি। তারপর উপ-নির্বাচনে দল তাকে প্রার্থী করেনি। 
বিজেপিতে যোগ দিয়ে মিতালি দাবি করেছেন যে বিজেপির প্রতি তার কোন টান নেই। তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তার কারণ তাকে কোন কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। তাই তিনি দল বদল করেছেন। মিতালি রায় যেই বুলি আওরাচ্ছেন তা ২০২০-২১ সালে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার সময় শোনা গিয়েছিল রাজীব বন্ধ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারিদের মুখে। আবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরেছেন রাজীব, মুকুল। যেই তৃণমূলে থেকে তারা কাজ করতে পারছিলেন না।


ধুপগুড়ির মানুষের কাছে যখন বিকল্পের কথা তুলে ধরছেন কংগ্রেস সমর্থীত বামফ্রন্ট প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায় তখন তৃণমূল এবং বিজেপি ব্যাস্ত দল ভাঙানোর খেলায়। শনিবার অভিষেকের সভায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি জেলা সভাপতি দীপেন প্রামানিক। আর আজ রবিবার সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক।  
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমাদের দুর্ভাগ্য উপ-নির্বাচনের আগে ধুপগুড়ির তৃণমূল প্রাক্তন বিধায়ক অভিষেকের হাত ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছে, এটাই বিজেপি এটাই তৃণমূল। আমরা বার বার বলি যে সকালে বিজেপি রাতে তৃণমূল, রাতে তৃণমূল সকালে বিজেপি তাই হলো। কত রঙ্গ দলবদল দেখতে হবে? নিজের স্বার্থে দলবদলের এটা শুরু করেছে বিজেপি আর তৃণমূল। দুই দলের মধ্যে কোন ফারাক নেই। মানুষের স্বার্থে দিন বদলের লড়াই চালাবে বামপন্থীরাই।’’


উল্লেখ্য তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে মাঝে মাঝেই মুখ খোলেন বিজেপি নেতারা। তারাই আবার সেই তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের হাত বাড়িয়ে নিজেদের দলে টেনে নেন। আবার মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জি বিজেপিকে পরাস্ত করার ডাক দিয়ে তাদের প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে দলে টেনে নেন।

Comments :0

Login to leave a comment