Deganga

সরকারি জমিতে অবৈধ নির্মাণ, অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে

জেলা

সরকারি জমি দখল করে অবৈধ ইমারতির কাজ বন্ধের অভিযোগ জমা পড়লো বিডিও'র কাছে। লিখিত অভিযোগ করলেন পঞ্চায়েত সদস্য হাবিব রেজা চৌধুরী। উত্তর ২৪পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
এই পঞ্চায়েতের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে দোতলা বাড়ি ও দোকান ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশ দিয়েছেন কোন সরকারি সম্পত্তি দখল করা যাবে না। তার উপরে অবৈধ নির্মাণ ও বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেই নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফদার আটি চাঁদপুর এলাকায় চাঁদপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে চলছে দোতলা বাড়ি নির্মাণের কাজ। চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের সদস্য হাবিব রেজা চৌধুরী অভিযোগ করেন, চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফদার আটি চাঁদপুর এলাকায় সরকারি বিদ্যালয়ের জমি দখল করে প্রকাশ্যে দিবালোকে দুতলা বাড়ি নির্মাণ চলছে। এর আগে একটি দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। এটি সম্পূর্ণ চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কাটমানি নিয়ে সরকারি স্কুলের জমিতে বাড়ি নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। এক বছর হতে পারিনি পঞ্চায়েত গঠন হয়েছে তার মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী একের পর এক দুর্নীতি করে চলেছেন। অবিলম্বে এই ধরনের প্রধানের আমরা অপসারণ চাই।
চাঁদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫ শতক জমিতে স্কুলের বিল্ডিং রয়েছে। বাকি যে অংশটুকু পড়েছিল সেই জমিতেই স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ শকের আলী মন্ডল বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তিনি প্রথমে জমির নথিপত্র দেখাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন এবং বলেন আদালতে দেখে নেব। অবশেষে তিনি ওই জমির কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
স্থানীয়দের বক্তব্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যা বলেন তা শুধু আই ওয়াশ করার জন্য বলেন। তৃণমূল দলের কিছু নেতা মন্ত্রীদের কাটমানি দিয়ে নিচু তলার নেতারা সরকারি জমি এতদিন একে অন্যের নামে হস্তান্তর করে দিত। এবারে স্কুলের জায়গা কাটমানির বিনিময়ে অন্যের হাতে বিল্ডিং নির্মাণ করতে দিয়েছে। এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন অবিলম্বে সরকারি বিদ্যালয়ের জমিতে যে বিল্ডিং নির্মাণ হচ্ছে তা বন্ধ করা হোক এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি হোক।
চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এলাকায় নেই বলে জানান। পাশাপাশি এ বিষয় নিয়ে চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হুমায়ন রেজা চৌধুরী জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী কোন বাড়ি বা বহুতল নির্মাণ করতে হলে পঞ্চায়েতের অনুমতিপত্র নিতে হয়। কিন্তু যে ব্যক্তি এই বাড়ি নির্মাণ করছেন বিদ্যালয়ের জমির উপরে তিনি কোন অনুমতি নেননি। দুর্নীতি বা কাটমানির মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। এর সঙ্গে পঞ্চায়েতের কেউ জড়িত নয়। যদি কেউ জড়িত থাকে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে।
পাশাপাশি দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষার কর্মাধ্যক্ষ এনামুল মোল্লা জানিয়েছেন, সরকারি বিদ্যালয়ের জমিতে কখনো অবৈধ নির্মাণ হতে পারে না। ওই ব্যক্তি কিভাবে স্কুলের জমির উপরে বাড়ি নির্মাণ করছেন সেটা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিশ করে কাজ বন্ধ করার এবং অভিযুক্ত যে ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করছেন তিনি তার বাড়ির সঠিক নথিপত্র না দেখাতে পারলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments :0

Login to leave a comment