ভারত- ২০১/৪ (৪১.২ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া - ১৯৯ ( ৪৯.৩ ওভার)
জয় দিয়ে ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল টিম ইন্ডিয়া। রবিবার চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারালেন কোহলি’রা। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৪৯.৩ ওভারে ১৯৯ রান। ৫২ বল বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় রান সংগ্রহ করে ফেলে ভারত। জাদেজা, বুমরা’দের নিঁখুত বোলিংয়ের পাশাপাশি এদিন ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছে কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলি’র চওড়া ইনিংস।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিনস। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা। ৫ রানের মাথায় প্যাভেলিয়নে ফিরে যান ওপেনার মিচেল মার্শ। ডেভিড ওয়ার্নার( ৪১) এবং স্টিভ স্মিথ(৪৬) কিছুটা চেষ্টা করেন পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার। কিন্তু তাঁরা দু’জনে আউট হওয়ার পরেই তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। টেল এন্ডার মিচেল স্টার্কের ২৮ রানের ইনিংস বাদ দিলে আর কেউ বলার মত রান তুলতে পারেননি।
ভারতের হয়ে লাইন এবং লেংথ বজায় রেখে বোলিং করে যান বুমরা, অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, জাদেজা’রা। ৩ উইকেট সংগ্রহ করেন জাদেজা। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বুমরা এবং কুলদীপ। ১টি করে উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং হার্দিক পান্ডিয়া।
[ad}
জবাবি ব্যাটিংয়ের শুরুতে ভারতও ধাক্কা খায়। ব্যক্তিগত স্কোর শূন্য রানে আউট হন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিষান। সেকেন্ড ডাউনে নামা শ্রেয়াস আইয়ারও শূন্য রানে আউট হন। ২ ওভারের ভারতের স্কোর ছিল ২/৩। ভারতীয় প্যাভেলিয়নেও শুরু হয় ব্যাটিং বিপর্যয়ের আশঙ্কা। কিন্তু সমস্ত শঙ্কায় জল ঢেলে ম্যাচ বের করে নিয়ে যান বিরাট কোহলি-কেএল রাহুল জুটি। ১৬৫ রান আসে এই জুটির ব্যাট থেকে। দায়িত্ব নিয়ে খেললেও, এদিন দু’জনেই সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন। কোহলি আউট হন ৮৫ রানে। রাহুল সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন মাত্র ৩ রানের জন্য। তিনি ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের শুরুটা মিচেল স্টার্ক এবং জশ হ্যাজেলউড ভালো করলেও, কোহলি এবং রাহুলের ব্যাটিংয়ের কোনও জবাব তাঁদের কাছে ছিল না। হ্যাজেলউড ৩টি এবং স্টার্ক ১টি উইকেট নেন। অ্যাডাম জাম্পা, অধিনায়ক প্যাট কামিনস সহ বাকি বোলাররা পুরোপুরি দাগ কাটতে ব্যর্থ হন।
ম্যাচ জিতলেও অধিনায়ক রোহিতের ফর্ম চিন্তায় রাখতে বাধ্য ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। সাম্প্রতিক সমস্ত সিরিজের মতোই এদিনও অতিদ্রুত প্যাভেলিয়নে ফিরে গিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। রেহিতের ব্যাট থেকে রান বেরোনো বাৎসরিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
Comments :0