কর্ণাটকের লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের নেতা লক্ষণ সাভাডি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন। কর্ণাটকের রাজনীতিতে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের সবথেকে প্রভাবশালী নেতা বলে গন্য করা হয় বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদিয়ুরাপ্পাকে। দক্ষিণী রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রভাবের নিরিখে ঠিক দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন লক্ষণ সাভাডি। তাঁদের অনুমাণ, সাভাডি’র দলত্যাগের ফলে দক্ষিণ কর্ণাটকে সমস্যায় পড়তে পারে বিজেপি।
শুক্রবার কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিভাকুমারের উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেন কর্ণাটকের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী লক্ষণ সাভাডি। কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তিনি নিজের প্রাক্তন দলের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন। সাভাডি বলেন, বিজেপি তাঁকে কখনও যোগ্য সম্মান দেয়নি। সাভাডি আরও বলেন, তাঁকে ভিক্ষাপাত্র নিয়ে পথে নামিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। সেই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্যই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে সাভাডি’র যোগদান প্রক্রিয়া নিয়ে কংগ্রেস জানিয়েছে, সাভাডি বিজেপিতে সম্মান পাচ্ছিলেন না। তাঁর মতো নেতাদের কংগ্রেসে জায়গা করে দেওয়া দলের কর্তব্য।
৬৩ বছর বয়সী সাভাডি ৩ বার আথানি কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ছিলেন। ২০১৮’র বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী মহেশ কুমাথাহাল্লি’র কাছে পরাজিত হন। নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে জনতা দল সেকুলারের সঙ্গে জোট করে কর্ণাটকের ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস। কিন্তু পরবর্তীকালে দলবদলের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে বিজেপি।
দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে মহেশ কুমাথাহাল্লিও ছিলেন। কংগ্রেসে ভাঙন ধরানোর পুরষ্কার হিসেবে তাঁকে কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রীও করে বিজেপি। যদিও পরবর্তীকালে সাভাডি’র সঙ্গে বিজেপি’র সম্পর্ক তলানিতে এসে দাঁড়ায়। তারফলে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী তালিকা থেকেও তাঁর নাম বাদ পড়ে।
এরপরেই কংগ্রেসে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন সক্ষণ সাভাডি।
Comments :0