সুভাষ মুখোপাধ্যায়
মেহনতি মানুষের ৪টি সংগঠন আগামী ২০ এপ্রিল ব্রিগেডে সমাবেশ আহ্বান করেছে। যা ঐতিহাসিক। শ্রমিক, কৃষক খেতমজুর এবং বস্তিবাসীদের সমমনোভাবাপন্ন শোষণ মুক্তির আদর্শে বিশ্বাসী সংগঠনগুলির আহ্বানে এই সমাবেশ হচ্ছে। শ্রমজীবীরা সহ সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের মানুষ রাষ্ট্র শক্তির আক্রমণে বিধ্বস্ত। শ্রমিক শ্রেণি, শ্রমজীবী মানুষের ঐতিহাসিক দায়িত্ব আক্রান্ত সব অংশের মানুষের ঐক্য গড়ে তুলে সংগ্রামকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করা।
সংবিধান প্রদত্ত অধিকার, লড়াই করে আদায় করা সব অধিকার, মানবাধিকার, কথা বলার অধিকার, প্রতিবাদ করার স্বাধীনতা সব কেড়ে নিচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যে মমতা ব্যানার্জির সরকার। দেশের এবং রাজ্যের সব সরকারি সম্পদ ধ্বংস করে পুষ্ট করা হচ্ছে বেসরকারি পুঁজিকে। সীমাহীন দুর্নীতি, নৃশংস অত্যাচারে ছিন্নভিন্ন গণতান্ত্রিক অবস্থা। সমাজ অধঃপতিত হয়ে অপরাধ প্রবণ হয়ে উঠছে, হতে দেওয়া হচ্ছে। অবাধে আপনার আমার অর্থ অপচয় এবং ব্যাপক দুর্নীতি করে লুট করছে। সর্বোপরি সমাজে ভয়ের আবহাওয়া তৈরি করে শাসন ক্ষমতায় টিকে থাকার ভয়ঙ্কর চক্রান্ত করে চলেছে বিজেপি এবং তৃণমূল দল এবং তাদের সরকার। আমাদের রাজ্যে শাসক এবং বিধানসভায় বিরোধী দল আসলে একের মধ্যেই দু’দলের অবস্থান। হয় তৃণমূল নয় তো বিজেপি, এই বাইনারি তৈরি করে রেখে দু’দলই বিকল্প শক্তি হিসাবে বঞ্চিত মানুষের পক্ষের শক্তি বামপন্থীদের সামনে আসতে না দেওয়ার চক্রান্তে শামিল প্রথম থেকেই। সাহস বাড়ছে অপরাধীদের। তোলাবাজির বখরা নিয়ে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি। মুখ্যমন্ত্রী দায়ও নিচ্ছেন না। ব্যবস্থা গ্রহণও করছেন না। মানুষের ভালোমন্দ নিয়ে কোনও চর্চা নেই। এই পরিস্থিতি বদলের সংকল্পই ঘোষিত হবে ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশ থেকে।
পেট্রোল, ডিজেলের দাম অন্যায়ভাবে বেড়েই চলেছে। এর ফলে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে হু হু করে। মানুষের আয় কমচ্ছে। শ্রমিক কর্মচারিদের অর্জিত অধিকার, ৮ ঘণ্টা কাজ, সংগঠন করা, দর কষাকষি করা, ধর্মঘট করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে ন্যূনতম বেতন, স্থায়ী কাজ, সামাজিক সুরক্ষা, কাজের নিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তা সহ ২৯টি আইনি অধিকার। তার বদলে চালু হচ্ছে ৪টি ‘শ্রমকোড’ হাত গোনা বড় লোকদের স্বার্থে। সমস্ত কেন্দ্রীয় শ্রমিক কর্মচারি সংগঠনের প্রতিবাদ, সংশোধনী বক্তব্যকে কোনও আমলই দেওয়া হয়নি। লোকসভায় আক্ষরিক অর্থেই জোর করে কোভিডের সময়কালে এই বিল পাশ করিয়ে ছিল মোদী সরকার। মুখে যাই বলুক শ্রমকোড মারফত যে সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে— তা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মালিকদের দালালি করার জন্য হুমকি সংস্কৃতিকে ব্যবহার করে আগেই তার অনেকগুলোই কেড়ে নেওয়া হয়েছে আমাদের রাজ্যে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে সরকারি জমি লুট করতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি পুঁজিপতিদের হাতে। ব্যাঙ্ক, বিমা, রেল, বিদ্যুৎ বিমান, পোর্ট, ডক, মনিটাইজেশন পাইপ লাইন ঘোষণা করে কেন্দ্রের সরকার বেসরকারিকরণ করছে খোলাখুলিভাবে বৃহৎ পুঁজির স্বার্থে। একই পথে রাজ্যের সরকার ইতিমধ্যেই ৪৬টি সরকারি সংস্থাকে বেসরকারিকরণ করার কাজ শেষ করে সরকারি জমি, বন্ধ কলকারখানার জমি, বন্দর, একইভাবে তুলে দিচ্ছে জমি হাঙর এবং সাঙাত পুঁজির হাতে। লিজহোল্ড জমি ফ্রি হোল্ড করে সর্বনাশ করছে চা শিল্প সহ রাজ্যের বহু সম্পদের। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের চরম অনিশ্চয়তা এবং ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়ে ঘুর পথে বিদ্যুৎ বেসরকারিকরণ করতে রাজ্য সরকার বাড়ি বাড়ি স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে বিনা নোটিসে।
কৃষক খেতমজুর এবং গ্রামের গরিব অকৃষি ক্ষেত্রের শ্রমজীবী মানুষ মারাত্মক শোষণের শিকার। কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারই কৃষকের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য না দিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে কৃষকের আয় নাকি বৃদ্ধি হয়েছে কয়েক গুণ। ধনী বন্ধুদের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ মকুব হলেও কৃষকের ঋণ মকুব করা হচ্ছে না। ইউ পি এ সরকারের সময় বামপন্থীদের কারণেই চালু হওয়া ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প এরাজ্যে বন্ধ হয়েছে। ভুয়ো জবকার্ড, স্বজন-পোষণের মধ্য দিয়ে লাগামহীনভাবে কোট কোটি টাকা লুট হচ্ছে। আবাস যোজনাতেও লুটের, স্বজন পোষণের একই চিত্র। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বলে বিভ্রান্ত করছে মানুষকে, আর কেন্দ্রের সরকার দুর্নীতির দোহাই দিয়ে টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে। ভুগছেন গরিব মানুষ। বিজেপি-টিএমসি ছায়যুদ্ধ করছে মানুষের সঙ্গে। খেতমজুর সহ সব ক্ষেত্রের ন্যূনতম মজুরি আমাদের রাজ্যে ২০১১ সালের পর পুনর্মুল্যানয়ন করেনি রাজ্য সরকার। বামফ্রন্টের আমলে আইনিভাবে যে সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা চালু হয়েছিল, বর্তমান রাজ্য সরকার প্রকৃত অর্থে প্রায় সব বন্ধ করে দিয়েছে। এই সব প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করছে। জনস্বার্থবাহী সব সরকারি প্রকল্প চরম অবহেলার শিকার। প্রকল্পের বরাদ অর্থ লুট করছে সরকারি মদতে শাসক দল। উপভোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রকল্পের কর্মীদেরও চরম বঞ্চনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এই সব প্রকল্পও বেসরকারি ব্যবসায়ী সংগঠনের হাতে তুলে দেওয়া চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
পথ পরিবহণ শিল্পে কালা আইন এনেছে কেন্দ্রের সরকার। রাজ্যে যা আগেই তার অনেকগুলি চালু হয়ে গেছে। রাজ্য সরকার কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম তুলে দিচ্ছে। সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা তুলে দিতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থাকে সঙ্কটাপন্ন করে দিয়েছে। কাজ হারাচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক। মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে পরিষেবা থেকে। বেসরকারি অ্যাপ পরিষেবা চালু করা এবং পথ পরিবহণ পরিষেবা থেকে সরকার হাত তুলে নিয়ে কর্পোরেটের হাতে ছেড়ে দিতে চাইছে। সরকারি পরিবহণ ক্ষেত্রের জমি চলে যাচ্ছে জমি দালাল সিন্ডিকেটের হাতে। বস্তির উন্নয়ন না করে উচ্ছেদের চক্রান্ত চলছে। কেন্দ্রীয় আইন থাকার সত্ত্বেও হকার উচ্ছেদ চলছে বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়াই। রেল হকারদের উপর চলছে নির্মম অত্যাচার।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য সহ দুর্নীতি সর্বত্র। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কিছু করছে না। বোঝাপড়া হয়ে গেছে। চাকরি চুরি যাওয়ার ফলে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা রাস্তায়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রকৃত অর্থে বেতন কমলেও রাজ্য সরকার ডিএ নিয়ে কর্মচারীদের অপমান করছে। কর্মচারীরা রাস্তায়। নারী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নেই, সমকাজে সমবেতন পাচ্ছেন না। সমাজেও নারী সুরক্ষা চরমভাবে বিঘ্নিত। শিশু থেকে বৃদ্ধা, রাজ্যে কোনও নারীরই সুরক্ষা বা নিরাপত্তা নেই। আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি। বখরার লড়াইয়ে প্রতিদিন শাসকদলের মধ্যে হানাহানি, শুট-আউট, নাগরিকরা আক্রান্ত হবার ঘটনা ঘটেই চলেছে। পুলিশ মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর মুখে কুলুপ। পুলিশ ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। আইন তার পথে চলতেও পারছে না। রাজ্যের অনগ্রসর জাতি আরও বড় সঙ্কটে। কাজ নেই, মজুরি কমছে, খাদ্য সঙ্কট তার উপর নির্যাতন।
অসংগঠিত গিগ ক্ষেত্রে যুক্ত হচ্ছেন অনেক বেকার এবং কাজ হারা মানুষ। যে কোনও শর্তে নামমাত্র মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। একটা বড় অংশের গরিব মানুষ অন্য জায়গায় ছুটছেন নিরাপত্তাহীন পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে। সরকার যেমন মানুষকে মানুষ ভাবছে না, ভাবছে ভোটার, পুঁজিপতিরাও তেমনি শ্রমিককে শ্রমিক বলে মনে করছে না উৎপাদনের আর পাঁচটা কাঁচা মাল হিসাবে শ্রমিকদের মনে করে নিচ্ছে। ফলে শোষণ হচ্ছে বেপরোয়া। শ্রমকোডের মধ্য দিয়ে অবাধ শোষণের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। কেন্দ্রের সরকারই ৮ ঘণ্টা কাজের স্বীকৃতি তুলে দিয়ে ১৪/১৫ঘণ্টা কাজ করার পক্ষে সওয়াল করছে। যেখানে প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতির কারণে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বেড়েছে সেখান পুঁজির মালিকরা সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কেউ ৮০ ঘণ্টা কেউবা ৯০ ঘণ্টা কাজের দাবি করছেন নির্লজ্জভাবে প্রকাশ্যে। সাঙাত পুঁজির স্বার্থে শ্রমকোড, কৃষক মারা কৃষি বিল সহ মানুষের স্বার্থ বিরোধী নীতি গ্রহণ করছে সরকার। দেশের বেহাল অর্থনীতির কারণে শ্রমজীবী মানুষ কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষ যে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়ছেন সেটাকে আড়াল করতে প্রকৃত তথ্য আড়াল করছে সরকার। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বোঝাতে চাইছে মানুষ ভালো আছে।
এরই বিরুদ্ধে লাগাতার সংগ্রাম চলছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। মানুষের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভকে সংঘবদ্ধ করাই এই মুহুর্তে চ্যালেঞ্জ। অত্যাচারীরা জানে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে সেই ক্ষোভকে বিপথগামী করার ধারাবাহিক পরিকল্পিত প্রয়াস জারি আছে শাসকের পক্ষ থেকে। রাষ্ট্রের দমন-পীড়ন তো আছেই তারই সঙ্গে বহুধা মিথ্যা নির্মাণ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ধর্ম, জাত, বর্ণের নামে বিভেদ সৃষ্টি এবং ভয়ের আবহাওয়া তৈরি করে কন্ঠরোধ, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে কর্পোরেট পুঁজি যুক্ত হয়ে ভাবাবেগ সৃষ্টি ইত্যাদির মধ্য দিয়ে বিক্ষুদ্ধ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে দিচ্ছে না। প্রতিবাদের কণ্ঠকে রুদ্ধ করছে। কিন্তু আমাদের রাজ্যে আর জি করে নিগৃহীতা, ধর্ষিতা চিকিৎসকের নির্মম খুনের পর বিচারের দাবিতে মানুষের অভূতপূর্ব ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। একইভাবে সাম্প্রতিক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রীর গাড়ির তলায় ছাত্র পিষ্ঠ হওয়ার ঘটনাতেও ছাত্র, যুব সমাজ সহ নাগরিক সমাজের ক্ষোভের প্রকাশ দেখা গেল। এই ক্ষোভকে শাসকের বিরুদ্ধে মানুষের সার্বিক ক্ষোভ হিসাবেই দেখতে হবে এবং রাজনৈতিকভাবেই একে সংহত করে পরিস্থিতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হবে। ২০ এপ্রিলের ব্রিগেড সমাবেশের উদেশ্যও এটাই।
২০ এপ্রিলের শ্রমজীবী মানুষের আহ্বানে ব্রিগেড সমাবেশ-আক্রান্ত সব অংশের মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করে লড়াকু ঐক্য গড়ে তোলার ঐতিহাসিক কর্মসূচি হিসাবে সংগঠিত হতে চলেছে। রাজ্যে গণতন্ত্র নেই, সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে সর্বত্র দলীয় দখলদারির পরিসর তৈরি করে চলেছে রাজ্যে শাসক এবং শাসক দল। নতুন শিল্প হচ্ছে না। কেন্দ্র রাজ্য সরকারের সরকারি শূন্যপদ কয়েক লক্ষ পূরণ হচ্ছে না। রাজ্যে শিল্প সম্মেলনের নামে কোটি কোটি টাকা নয় ছয় হচ্ছে বছর বছর। অন্যদিকে গত পাঁচ বছরে প্রায় আড়াই হাজার কোম্পানি তাদের অফিস সরিয়ে নিয়ে গেছে অন্য রাজ্যে। এ তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে নতুন করে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিল্প।
শত্রু চিনতে, চেনাতে আমাদেরই আক্রান্ত প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। তাহলেই ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশ যে তাদেরই স্বার্থে সেটা মানুষ উপলদ্ধি করবে। ব্রিগেডের সমাবেশ এভাবেই সব অংশের আক্রান্ত মানুষের সমাবেশে পরিণত হবে। এই সমাবেশ থেকেই বদল আনার আগামী বৃহত্তর আন্দোলনের আহ্বান ঘোষিত হবে।
শত্রু চিনতে, চেনাতে আক্রান্ত প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। তাহলেই ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশ যে তাদেরই স্বার্থে সেটা মানুষ উপলদ্ধি করবে। ব্রিগেডের সমাবেশ এভাবেই সব অংশের আক্রান্ত মানুষের সমাবেশে পরিণত হবে। এই সমাবেশ থেকেই বদল আনার আগামী বৃহত্তর আন্দোলনের আহ্বান ঘোষিত হবে।
Comments :0