Brigade Rally

বিভাজনের ছক ভেঙে ব্রিগেড সমাবেশ সফল করার আহ্বানে বহরমপুরে মিছিল

জেলা ব্রিগেড

রাজ্যে কৃষকরা আর চাষ করতে পারছেন না। নেই লাভ। বিপন্ন খাদ্য নিরাপত্তা। কর্পোরেটের অধীনে কৃষকদের চাষ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। খেতমজুরদের মজুরি সংকটে। কেন্দ্রের কৃষি আইন রাজ্যেও লাগু করবে মমতা ব্যানার্জির সরকার। শ্রমিকদের জীবনেও মজুরি, কাজের নিরাপত্তা কমছে। বাড়ছে অভাব, দারিদ্র। গরীব মানুষেওকে ভাগ করতে চাইছে তৃণমূল আর বিজেপি। বিভাজনের ছক ভেঙে ২০ এপ্রিল কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর, বস্তিবাসীর ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ সফল করতে হবে। সোমবার বহরমপুরে রবীন্দ্রসদনে গণকনভেনশন থেকে এই আহ্বান জানালেন নেতৃত্ব।
কনভেনশনে কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার বলেন, রাজ্যে কৃষিতে লাভ নেই। আলু চাষ করে মাথার চুল ছিঁড়ছেন কৃষকরা। পাটে ক্ষতি হয়েছে। সবজিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চার টাকায় সবজি কিনে শহরে আঠাশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন ব্যবস্থা মমতা ব্যানার্জির সরকার তৈরি করেছে। কৃষক কষ্ট করে দাম পাচ্ছেন না। সাংঘাতিক অবস্থায় কৃষকরা যাচ্ছেন। তাই, দাবি তুলতে হবে ফসলের লাভজনক দাম চাই। ব্যাংকের ঋণ, মহাজনি ঋণ থেকে কৃষকদের মুক্ত করতে হবে। এই দাবি নিয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে।
সিআইটিইউ নেতা সমনাথ ভট্টাচার্য বলেন, মানুষের জীবন যন্ত্রণা বাড়ছে। তৃণমূলের সাংসদদের ঘোষিত  গড় সম্পত্তির পরিমাণ ১৭ কোটি টাকা। বিজেপির সাংসদদের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা। মন্ত্রীদের গড় সম্পত্তি ১০০ কোটিরও বেশি। এই মন্ত্রী সভা ১০০ দিনের কাজ ২০০ দিন করবে না। বরং গরীব মানুষের কাজকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিকদের উপর নয়া শ্রমকোড চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল, বিজেপি এসব নিয়ে আলোচনা চাইছে না। ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করাই ওদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যকে খারিজ করবে ব্রিগেড সমাবেশ। কনভেনশনের প্রস্তাব পেশ করে কৃষক সভার জেলা সভাপতি সচ্চিদানন্দ কান্ডারী। কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন, কৃষক সভার আবু বাক্কার, খেতমজুর ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক  জামাল হোসেন, বস্তি ফেডারেশনের জেলা সম্পাদক ভাস্কর সেনগুপ্ত। ছিলেন জামির মোল্লা। কনভেনশন শেষে বহরমপুরে মিছিল হয়।

Comments :0

Login to leave a comment