গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খাদ্য সুরক্ষা আইনে বরাদ্দ কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আওয়াজ তুলে বুধবার রাজ্যসভায় বিজেপিকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সাংসদ সোনিয়া গান্ধী। এদিন তিনি বলেন, ‘‘গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় যেই প্রকল্প ছিল তার জন্য বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এবারের বাজেটে সেই বরাদ্দ কমিয়ে করা হয়েছে ২৫০০ কোটি টাকা।’’ সেক্ষেত্রে আগের বরাদ্দের তুলনায় এই বাজেটে বরাদ্দ মাত্র পাঁচভাগ।
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে গর্ভবতী মহিলারা প্রতি সন্তানের জন্য ৬,০০০ টাকা মাতৃত্বকালীন সুবিধা পেয়ে থাকে। দুটি কিস্তিতে তা প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় সন্তান যদি মেয়ে হয় তবে এই সুবিধাগুলি প্রসারিত হয়। ২০১৭ সালে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা যোজনা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৫,০০০ টাকা প্রদান করে।
এদিন সোনিয়া গান্ধী বলেন, ২০২২-২৩ সালে ৬৮% গর্ভবতী মহিলা কমপক্ষে একটি কিস্তি পেয়েছেন, কিন্তু তার পরে এই অনুপাত নাটকীয় ভাবে হ্রাস পেয়েছে। পরের বছরই, এই অনুপাত মাত্র ১২%-এ নেমে আসে। আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে জিজ্ঞাসা করতে চাই কেন এই কমে যাওয়া?
তিনি আরও বলেন যে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে, মাতৃত্বকালীন সুবিধার সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য বার্ষিক প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রয়োজন, কিন্তু এই বছরের বাজেটে প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা যোজনার জন্য আলাদা ভাবে কোনও বরাদ্দের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
সোনিয়া গান্ধী বলেন, বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের ‘সামর্থ্য’ নামে একটি কর্মসূচি রয়েছে। এর পাঁচটি ভাগ রয়েছে, যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা যোজনা একটি। ২০২৫-২৬ সালে সামর্থ্যের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২,৫২১ কোটি টাকা। এটি স্পষ্ট ভাবে দেখায় যে প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা যোজনার জন্য কোন বরাদ্দ আলাদা ভাবে নেই। এর মাধ্যমে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে পাশ হওয়া একটি আইনকে অমান্য করছেন।
Comments :0