এদিন মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সভাও হয়। বিমান বসু বলেন, ‘‘রাজ্যের স্কুল গুলোয় শিক্ষক নেই। শিক্ষকের অভাবে স্কুল গুলো বন্ধ হতে চলেছে। সরকার বলতে পারছে না কতো পদ খালি। এক এক সময় এক এক সংখ্যা বলছে। আমরা বলছি এই জিনিস চলতে পারেনি। সরকারের কোন অধিকার নেই একটা প্রজন্মকে শেষ করার।’’ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, আদালতে আইনি লড়াই যেমন চলছে তেমন ভাবে রাস্তায় চাকরি প্রার্থীদের দাবিতে লড়াই চালাবেন তারা।
উল্লেখ্য টাকা দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের যাতে চাকরি না যায় তার জন্য সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করতে দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারকে। টানা ১০০০ দিন ধরে চলছে চাকরির দাবিতে ধরনা অবস্থান। ওঁদের দাবি আদায়ের পথ চলা শুরু হয়েছিল প্রেস ক্লাবে সামনে অনশনের মধ্যে দিয়ে। দুর্নীতির কারণে এসএসসি’র ২০১৮ সালের মেধা তালিকা বাতিল হয়। ২০১৯ সালে সেই তালিকা পুনরায় প্রকাশ হওয়ার পর আবারও বেনিয়ম ধরা পড়ে। এর প্রতিবাদে টানা ২৯ দিন প্রেস ক্লাবের সামনে অনশনের পর মুখ্যমন্ত্রী ও তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ করা হবে এবং যোগ্যরা চাকরি পাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরেও মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত চাকরি পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করুন, এটাই দাবি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের।
চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাঁদের নিয়োগের ব্যাপারে আশ্বস্তও করেছিলেন। কিন্তু তা ওই পর্যন্ত। পরবর্তী ঘটনা পরম্পরায়, দুর্নীতির দায়ে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের জেল যাত্রার ধারাবাহিকতায় এটা স্পষ্ট হয় যে, জনরোষ, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ও তৃণমূলের চুরি, দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য খোদ মুখ্যমন্ত্রী ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাকরি প্রার্থীদের ক্ষান্ত করার কৌশল ফেঁদে ছিলেন। তাতেও কাজ হয়নি। আজও মেলেনি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের হকের চাকরি।
Comments :0