Left front rally

সরকারের কোন অধিকার নেই একটা প্রজন্মকে শেষ করার : বিমান বসু

রাজ্য

বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অবস্থানের হাজারতম দিনে লেনিন মূর্তি থেকে মিছিল করে ধর্ণা মঞ্চে গিয়ে চাকরি প্রার্থীদের সাতে দেখা করলেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর নেতৃত্বে বামফ্রন্টের কর্মী সমর্থকরা ধর্মতলার লেনিন মূর্তি থেকে মিছিল করে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যান। যেখানে ১০০০ দিন ধরে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। এর আগে ধর্ণার ৬০০ তম দিন মিছিল করেছিল বামফ্রন্ট। প্রতিটা উৎসবেরদিন তাদের সাথে গিয়ে দেখা করেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

এদিন মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সভাও হয়। বিমান বসু বলেন, ‘‘রাজ্যের স্কুল গুলোয় শিক্ষক নেই। শিক্ষকের অভাবে স্কুল গুলো বন্ধ হতে চলেছে। সরকার বলতে পারছে না কতো পদ খালি। এক এক সময় এক এক সংখ্যা বলছে। আমরা বলছি এই জিনিস চলতে পারেনি। সরকারের কোন অধিকার নেই একটা প্রজন্মকে শেষ করার।’’ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, আদালতে আইনি লড়াই যেমন চলছে তেমন ভাবে রাস্তায় চাকরি প্রার্থীদের দাবিতে লড়াই চালাবেন তারা।

উল্লেখ্য টাকা দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের যাতে চাকরি না যায় তার জন্য সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করতে দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারকে। টানা ১০০০ দিন ধরে চলছে চাকরির দাবিতে ধরনা অবস্থান। ওঁদের দাবি আদায়ের পথ চলা শুরু হয়েছিল প্রেস ক্লাবে সামনে অনশনের মধ্যে দিয়ে। দুর্নীতির কারণে এসএসসির ২০১৮ সালের মেধা তালিকা বাতিল হয়। ২০১৯ সালে সেই তালিকা পুনরায় প্রকাশ হওয়ার পর আবারও বেনিয়ম ধরা পড়ে। এর প্রতিবাদে টানা ২৯ দিন প্রেস ক্লাবের সামনে অনশনের পর মুখ্যমন্ত্রী ও তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ করা হবে এবং যোগ্যরা চাকরি পাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরেও মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত চাকরি পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করুন, এটাই দাবি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের।

চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাঁদের নিয়োগের ব্যাপারে আশ্বস্তও করেছিলেন। কিন্তু তা ওই পর্যন্ত। পরবর্তী ঘটনা পরম্পরায়, দুর্নীতির দায়ে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের জেল যাত্রার ধারাবাহিকতায় এটা স্পষ্ট হয় যে, জনরোষ, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ও তৃণমূলের চুরি, দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য খোদ মুখ্যমন্ত্রী ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাকরি প্রার্থীদের ক্ষান্ত করার কৌশল ফেঁদে ছিলেন। তাতেও কাজ হয়নি। আজও মেলেনি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের হকের চাকরি। 

Comments :0

Login to leave a comment