হিজাব বিতর্কে টানা প্রতিবাদের জেরে অবশেষে ইরানে উঠল ‘নীতি পুলিশ’ (Morality Police) তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত সরকারের। দেশের আইন ব্যবস্থার সঙ্গে নীতি পুলিশের কোনও সংযোগ নেই বলে রবিবার জানাল অ্যাটর্ণি জেনারেল মহম্মদ জাফর মন্টাজেরি। প্রসঙ্গত এই নীতি পুলিশের হেপাজত নিহত হয়েছিল ২২ বছর বয়সী কুর্দি বংশোদ্ভুত ইরানী যুবতী মাহসা আমিনির (Mahsa Amini)। তারপর থেকেই হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান। হিজাব বাদ্ধতামূলক এই নির্দেশ ‘মানব না’ বলে রাস্তায় নামে হাজার হাজার তরুণী। হিজাব জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় তাদের। তাদের পাশে দাড়াতে দেখা যায় সমাজর প্রগতিশীল মানুষের একটি বিশাল অংশকে। এমনকি হিজাব নিয়ে প্রতিবাদীদের পাশে দাড়ায় ইরানের জাতীয় ফুটবল দল। ফিফা বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে জাতীয় সংগীত না গেয়ে প্রতিবাদ জানায় তাঁরা।
শনিবারই হিজাব আইন নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছিল ইরান প্রশাসন। রবিবার নীতি পুলিশের তুলে নেওবার সিদ্ধান্তে কার্যত খুশি প্রতিবাদীদের একাংশ। যদিও তাদের দাবি হিজাব বাদ্ধতামূলক আইন নিয়ে অবশ্যই প্রযালোচনা করতে হবে সরকারকে। ইরানে আইন করে হিজাব বাদ্ধতামূলক করা হয় ১৯৮৩ সালে। যদিও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানির সময়কালে হিজাব বাদ্ধতামূলক থাকলেও পোষাক নিয়ে এতটা কঠোর ছিল না সে দেশের সরকার। কিন্তু চলতি বছরের জুলাই মাসে রক্ষনশীল সরকার ফের মহিলাদের পোষাকের নিয়ে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে থাকে।
Comments :0