MOROCCO EARTHQUAKE

ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে মরক্কো ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা

আন্তর্জাতিক

morocco earth quake africa europe natural disaster bengali news

মরক্কো ভূমিকম্পে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শনিবার সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছেন অন্ততপক্ষে ১০৩৭জন। এখনও অবধি ১২০৪জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তারমধ্যে গুরুতর জখমের সংখ্যা ৭২১। 

শনিবার মাঝরাতে কেঁপে ওঠে মরক্কো। অ্যাটলাস পর্বতমালার দক্ষিণে অবস্থিত মারাক্কেশকে ভূমিকম্পের উৎসস্থল মনে করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.০।  ভূমিকম্পের ফলে মরক্কোর রাজধানী রাবাত ছাড়াও মারাক্কেশ, কাসাব্লাঙ্কা, আগাডির এবং কেনিত্রা’র মত একাধিক শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মাঝরাস্তায় রাত কাটিয়েছেন বহু মানুষ। সেই ভিডিওগুলি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিওতে তাসের ঘরের মতো ৩-৪ তলা বাড়ি ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে। 

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পুরনো মারাক্কেশ শহরের অন্যতম মূল আকর্ষণ জেনা-এল-ফনা অঞ্চলের কৌতুবিয়া মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১২ শতকে তৈরি এই মসজিদ ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অংশ। এছাড়াও মারাক্কেশের বহু ঐতিহাসিক ইমারত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরনো মারাক্কেশ ঘিরে থাকা মধ্যযুগীয় লাল রঙের প্রাচীরের একাধিক অংশ ধ্বসে পড়েছে বলে খবর। 

মরক্কোর ন্যাশনাল ইন্সটিটিইউট অফ জিওফিজিক্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.০। এর উৎস দক্ষিণ অ্যাটলাসের আল-হাউজ প্রদেশ। যদিও ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের দাবি, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.৮। 

২০০৪ সালেও ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাক্ষী ছিল মরক্কো। ভূমধ্যসাগর উপকূলে হওয়া ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬০০’র বেশি সাধারণ মানুষ। আহত’র সংখ্যা ছিল ৯০০। যদিও শনিবারের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি ২০০৪ সালের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি হবে বলেই বিশেষজ্ঞদের অনুমাণ। 

মরক্কো প্রশাসন জানাচ্ছে, ভূমিকম্পের ফলে আল-হাউজ প্রদেশের দুর্গম অঞ্চলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাথর পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তারফলে সেই অঞ্চলগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির কি অবস্থা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। 

ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্ব মরক্কোর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়েছে, মরক্কো সমস্ত রকমের সাহায্য করতে প্রস্তুতি তাঁরা। একই বার্তা এসেছে ভারত এবং জার্মানি থেকেও। 

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভূপৃষ্ট থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভূপৃষ্টের এত কাছে উৎসস্থল হওয়াতে কম্পনের তীব্রতাও বেশি ছিল। তারফলেই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

শনিবারের ভূমিকম্পের রেশ টের পাওয়া গিয়েছে ভূমধ্যসাগরের অপর প্রান্তে অবস্থিত পর্তুগালেও। 

Comments :0

Login to leave a comment