Digha

মশায় জেরবার দিঘার পর্যটকরা

রাজ্য

ডেঙ্গু নিয়ে এবার উদ্বেগে পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দীঘা। বিগত পনের দিনে মশা ঘটিত রোগে আক্রান্ত ১২ জন। তাই আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। দিঘাকে বাংলার তথা দেশের অন্যতম সেরা ভ্রমণ ডেস্টিনেশন করার জন্য একের পর এক পদক্ষেপ করে চলেছে প্রশাসন। সেখানে তৈরি করা হচ্ছে জগন্নাথ মন্দিরও। কিন্তু, দিঘায় দেখা দিয়েছে নতুন ‘বিপদ’। মশার দৌরাত্মে আতঙ্কে পর্যটকরা। চকচকে রাস্তা, পথবাতি, অডিয়ো ভিজ্যুয়াল সাউন্ড সিস্টেম, পার্ক সহ বিনোদনের একাধিক কাজ হলেও দিঘায় নিকাশির ব্যবস্থা একেবারেই বেহাল। সেখানে নোংরা জল থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়া এবং সেই নোংরা জলে মশা জন্ম নিচ্ছে বলে জানায়  স্থানীয়রা। ফলে মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দা। একান্তে সময় কাটানোর সময় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মশা। শুধু তাই নয়, মশার উপদ্রবের কারণে সমুদ্রের পাড়ে বসতে পারছেন না পর্যটকরা।
দিঘাকে সাজিয়ে তোলার জন্য একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে সে নিয়েও বিতর্ক আছে। কারণ পরিবেশ রক্ষার বালাই নেই। যত্রতত্র নোংরা আবর্জনা না ফেলা, নির্দিষ্ট জায়গায় নোংরা আবর্জনা ফেলে পরিবেশকে সুস্থ ও সুন্দর করে গড়ে তুলতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগত পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে নিয়মিতভাবে। কিন্তু প্রশাসন নিজের কাজই করছেনা। প্রশাসনের তরফে জানানো হচ্ছে, সচেতনতা প্রচারে কাজ হচ্ছে অনেকটাই। পর্যটকরা মেনে চলছেন যাবতীয় নিয়মবিধি। দিঘার আমূল বদল ঘটলেও কিছুতেই যেন পিছু ছাড়তে নারাজ মশার উপদ্রব। আর এতেই বিরক্ত হচ্ছেন দিঘায় আগত পর্যটকরা।
এক পর্যটক জানান, ‘‘দিঘায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। আধুনিকতায় মোড়া হলেও ড্রেনেজ পরিষেবা ভালো নয় সমুদ্র সৈকতে। তাঁর কথায়, ‘ড্রেনের মধ্যে জল জমে রয়েছে। ফলে মশা জন্মাচ্ছে। সেই মশা সমুদ্রের রূপ উপভোগ করতে আসা মানুষের কাছে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন থাকবে যাতে ড্রেনের জমে থাকা জল পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করা হয়’’।'
এই নিয়ে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈকত হাজরা জানান, ‘‘এই বিষয়টি আগেও আমাদের নজরে এসেছে। যাতে ড্রেনের নোংরা জল জমে না থাকে তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগে পর্যটকদের থেকে সেভাবে সহযোগিতা পাওয়া যেত না। এরপর প্রচার বাড়ানো হয়। এখন পর্যটকেরা নিজেরাই সচেতন। আমাদের সহায়তা করে চলেছেন। সকলের সহযোগিতায় ক্লিন দিঘা গড়ে তোলাটাই লক্ষ্য’’।
অধ্যাপক ও পরিবেশ কর্মী সুমন মাইতি বলেন,‘‘সমুদ্রের প্রাকৃতিক পরিবেশ একটু একটু করে ধ্বংস করা হচ্ছে। সমুদ্রের ধার বরাবর অট্টালিকা তৈরি হয়ে চলেছে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করেই। তাতে প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে প্রশাসনের। পরিকল্পনাহীন ভাবে নিকাশির ব্যবস্থা। এসবই কারণ’’। উদ্বেগের আরও একটি কারণ গত পনের দিনে দীঘায় ম্যালেরিয়াতে ১০ জন, ডেঙ্গিতে ২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এমনটাই জানা গেছে দীঘা হাসপাতালের একটি সূত্র মারফত।
 

Comments :0

Login to leave a comment