এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে এয়ার ডিফেন্ডার ২৩। ন্যাটোভুক্ত ২৫টি দেশের ১০ হাজার বায়ুসেনা জওয়ান এবং ২৫০টি যুদ্ধবিমান এই মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে। এরমধ্যে কেবলমাত্র মার্কিন বায়ুসেনারই ১০০টি বিমান অংশ নেবে। এর পাশাপাশি মার্কিন এয়ার ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার জওয়ানও অংশ নেবে মহড়ায়।
জার্মানিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত অ্যামি গুটমান জানিয়েছেন, বিশ্বের সামনে ন্যাটোর সামরিক দক্ষতা তুলে ধরতেই এই মহড়া। তিনি রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকে সরাসরি উদ্দেশ্য করে বলেন, এই মহড়া দেখে চমকে যেতে চলেছেন পুতিন। আমরা চাই তিনি এবং তাঁর সহযোগীরা ন্যাটোকে দেখে এমনভাবেই চমকিত হতে থাকুন।
এই সামরিক মহড়া ২০১৮ সালে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইউক্রেন সহ পূর্ব ইউরোপে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় দীর্ঘদিন এই মহড়া স্থগিত ছিল। ন্যাটোর আশঙ্কা ছিল, ন্যাটোভুক্ত কোনও দেশেও হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। এই মহড়ায় ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্ত হতে চাওয়া সুইডেন অংশ নেবে। একইসঙ্গে অংশ নেওয়ার কথা জাপানেরও।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইউরোপ জুড়ে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্যেই এই আয়োজন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কথাতেই স্পষ্ট, প্ররোচনা সৃষ্টি করতে চাইছে এই পশ্চিমী জোট। মার্কিন অস্ত্র কোম্পানিগুলির জন্য মুনাফার দরজা খুলে দিতে গোটা ইউরোপে যুদ্ধের আগুন ছড়াতে চাইছে আমেরিকা।
Comments :0