অন্যদিকে এদিন নরেন্দ্র মোদী পুরনো সংসদ ভবনে এনডিএ’র বৈঠকে দাবি করেছেন আগামী দশ বছর এনডিএ সরকার দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘‘আমি অত্যন্ত সচেতন ভাবেই বলছি। আগামী দশ বছর এনডিএ সরকার দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবে।’’ তবে এতোদিন মোদী সরকার বলে আসা নরেন্দ্র মোদী এবার চাপে পড়ে এনডিএ সরকার কথা উচ্চারন করতে বাধ্য হয়েছেন। তার মুখে প্রথমবার কোন বক্তৃতায় এনডিএ জোটের প্রশংসা করতে শোনা যাচ্ছে।
নীতিশ কুমার এদিন বৈঠকে বলেছেন, ‘‘ইন্ডিয়া ব্লকের দল গুলো দেশের জন্য কোন কাজ করেনি। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে সব সময় থাকবো। বিহারের জন্য যেই কাজ বাকি আছে সেই কাজ আমরা একসাথে সম্পূর্ণ করবো।’’
এই নীতিশ কুমার ইন্ডিয়া ব্লক তৈরি হওয়ার সময় সেখানে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই পাল্টি মেরে এনডিএতে ফিরে যান। নীতিশের কথায় কংগ্রেস বামপন্থীরা দেশের জন্য কোন কাজ করেনি। উল্লেখ্য প্রথম ইউপিএ সরকার যাকে বামপন্থীরা বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েছিল সেই সরকারের সময় বন সংরক্ষন আইন, খাদ্য সুরক্ষা আইন, ১০০ দিনের কাজ, সার্বজনীন শিক্ষার অধিকার আইনের মতো একাদিক জনমূখি আইন এবং প্রকল্প হয় সেই সময়।
এদিন মোদীর মুখে শুধুই শোনা যায় জগন্নাথ। শুক্রবার এনডিএ বৈঠকে জগন্নাথের কথা বার বার উল্লেখ করেছেন। অনেকেই ঠাট্টার ছলে বলছেন উত্তরপ্রদেশে রামলালা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় মোদী এবার জগন্নাথের স্মরণ নিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি জোটের কাছে এবার মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। কাজে আসেনি রাম মন্দির আবেগ।
ইন্ডিয়াকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ইন্ডিয়া প্রযুক্তির বিরোধী। তার কথায় এনডিএ সরকার সব থেকে শক্তিশালী জোট সরকার।
দশ বছর বাদে মোদী এনডিএ সাংসদদের সামনে বলতে বাধ্য হয়েছেন যে আগেও এনডিএ সরকার ছিল এবারও এনডিএ এতে নতুন কিছু নেই। তিনি বলেন, গত দশ বছর সংসদে কোন জোড়ালো তর্ক বিতর্ক হয়নি। আশা করবো দেশের ভালোর জন্য বিরোধীরা এবার তর্ক বিতর্কে অংশ নেবেন। মনে রাখা দরকার আদানি ইসুতে বিধোরী সাংসদের গত লোকসভায় বলতে দেওয়া হয়নি। ১৪০ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে খারিজ করা হয়েছিল রাহুল গান্ধী সংসদ পদ। এছাড়া, কোন আলোচনা ছাড়াই সংসদে একের পর এক বিল পাশ করিয়েছে বিজেপি।
এদিন তিনি দাবি করেছেন এনডিএ দেশের উন্নতি, যুবদের চাকরির কথা নিয়ে প্রচার করেছে। ইন্ডিয়া সেই জায়গায় মিথ্যা প্রচার করেছে।
তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার আগেও মিথ্যা বলা থামালেন না মোদী। একাধিক নির্বাচনী প্রচার থেকে সাম্প্রদায়িক উষ্কানি দিয়েছেন মোদী এবং বিজেপি নেতারা। মঙ্গলসূত্র, ঘুসপেঠিয়ার মতো কথা গুলো এক একটি উদাহরন। উল্টো দিকে ইন্ডিয়া দাবি জানিয়েছে সংবিধান বাঁচানোর, যুবকের জন্য চাকরি, মূল্যবৃদ্ধি রোধের।
Comments :0