Pathar pratima blast

পাথরপ্রতিমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮

রাজ্য

পাথরপ্রতিমায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হলো আরও একজনের। পুলিশ সূত্রে খবর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে সাত। গতকাল রাতেই বিস্ফোরণের সময় ছয় জনের মৃত্যু হয়। তারপর একজনের মৃত্যু হয় রাতেই। এদিন সকালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মঙ্গলবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সুতপা জানার। তার শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সুন্দরবনের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন যেই বাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই বাড়িতে মোট ১১ জন সদস্য থাকতেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন যে, ওই বাড়িতে বাজি তৈরির কারখানা ছিল যার জেরে বিপুল পরিমানে বারুদ সেখানে মজুত করা ছিল। গতকাল রাতে গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণের জেরেই এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। গোটা বিষয়ে ফরেন্সিক তদন্ত করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পাথরপ্রতিমা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক সমীর কুমার জানার দাবি তিনি ওই পরিবারকে চিনতেন এবং তাদের এই বাজির ব্যবসার কথা জানতেন। তবে তার কথায় বাড়ি থেকে দুরে তাদের কারখানা ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এই ব্যবসা। বিধায়কের কথায় বাড়িতে বাজি তৈরি কিছু মশলা মজুত রাখায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। 
উল্লেখ্য এই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বজবজ এলাকায় কয়েক বছর আগে ২০২৩ সালে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে সেই সময়ও দেখা গিয়েছিল প্রশাসনিক গাফিলতি। পুলিশের নাকের ডগায় বসে বেআইনি ভাবে বসতি এলাকায় তৈরি হতো বাজি। তার আগে এগরায় এবং দত্তপুকুরেও এই একই ঘটনা ঘটেছিল। প্রতিটা ঘটনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বেআইনি বাজি তৈরির কারখানা গুলোর বিরুদ্ধে। কিন্তু তারপর আর কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। 
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৫ বছর ধরে বোমা ও বাজি তৈরির কারখানা চালাচ্ছিলেন অরবিন্দ বণিক। বাড়ির কাছে তিনি কারখানা করেন। গ্রামবাসীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, কারখানায় বোমা তৈরির পর বাড়িতে বোমা মজুত করা হয়েছিল। ঘরের মধ্যে কিভাবে মজুত ওই বোমায় আগুন লাগে জানা যায়নি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ও পরপর বিস্ফোরণ, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে বাজি নয় মজুত বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত।
তাঁরা আরো জানান, অরবিন্দ বণিকের ২ পুত্র। তাঁদের মধ্যে চন্দ্রকান্ত বণিকও বোমা ও বাজি তৈরির কারখানা চালাচ্ছিলেন। বিস্ফোরণের ঘটনার পর তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর স্ত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তাঁদের কথায়, ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ। মৃতদেহ খন্ড খন্ড হয়েছে। কঙ্কাল বেড়িয়ে পড়েছে। আগুনে দেহ পুড়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। 
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শাসকদলের মদতেই চলছিল বেআইনি এই বোমা ও বাজি তৈরির কারখানা। এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী এই বণিক পরিবার।

Comments :0

Login to leave a comment