One nation one vote

লোকসভায় পেশ ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল

জাতীয়

লোকসভায় পেশ হলো ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে বিল লোকসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্জুন রাম মেঘওয়াল। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই আইনের মাধ্যমে কোন ভাবে সংবিধানের অমর্জাদা করা হচ্ছে না। দেশের যেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া তাতে বদল আনা হচ্ছে।
লোকসভায় বিল পেশ হওয়ার সাথে সাথে বিক্ষোভ দেখাতে থাকন ইন্ডিয়ার সাংসদরা। তারা দাবি করেন যে এই আইন সংবিধানের গনতান্ত্রিক কাঠামোর ওপর আক্রমণ।
বিল পেশ করার পর বিরোধীদের পক্ষ থেকে বিলের বিরোধীতা করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানান প্রধানমন্ত্রী চায় বিল যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হোক। আইনমন্ত্রী তাতে সমর্থন দেন। তিনি জানান যৌথ সংসদীয় কমিটিতে বিল আলোচনার পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার সংবিধান (১২৯ সংশোধনী) বিল,  এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী বিল), ২০২৪ অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। শুক্রবার সেগুলি সাংসদদের কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়।  জানা যায়, সোমবারই আইন মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বিলগুলি সংসদে পেশ করবেন। আইন মন্ত্রী বিলগুলি পেশ করার পরেই তা যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হতে পারে আলোচনার জন্য— এমন কথাও শোনা গিয়েছিল।  কিন্তু হঠাৎ করেই পিছিয়ে যায় সরকার। কী কারণে সরকার পিছু হঠল, খুব স্পষ্ট নয়।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে গোটা দেশে লোকসভা এবং সমস্ত রাজ্য বিধানসভাগুলির ভোট একসঙ্গে করার জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। তখনই মনে করা হয় যে, সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই বিলটি পেশ করতে চায় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ‘এক দেশ এক ভোট’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়ার খবরে বিরোধী দলগুলি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, দেশজুড়ে একসঙ্গে নির্বাচন করার আদৌ পরিকাঠামো আছে কি না। তাহলে, সদ্য অনুষ্ঠিত চার রাজ্যের ভোট এক সঙ্গে করানো গেল না কেন? হরিয়ানা আর মহারাষ্ট্রের ভোট আলাদা আলাদা করতে হলো কেন? কেন্দ্রীয় সরকার এবং শাসক দলের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপের পক্ষে মূল যুক্তি দেওয়া হচ্ছে এক সঙ্গে ভোট হলে খরচ কমে যাবে। দ্বিতীয় দাবি, সারা বছর ধরে ভোট হওয়ায় নাকি নির্বাচনী বিধির জন্য উন্নয়নের কাজ করা যাচ্ছে না। সেই ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত, পৌরসভার ভোটও এক সঙ্গে করা উচিত বলে পালটা মত আছে। যে পথে যাচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। তবে ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল নিয়ে প্রথম থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বিরোধীরা। তাদের যুক্তি, এই বিল ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিরোধী। একই সঙ্গে সংসদীয় গণতন্ত্রেরও পরিপন্থী। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর মাধ্যমে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার ঘুরপথে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো একটি ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে বলে অভিযোগ বিরোধী নেতৃত্বের।

Comments :0

Login to leave a comment