ডাক্তারির কেন্দ্রীয় প্রবেশিকা নিটে গ্রেস মার্কস পাওয়া ১৫৬৩ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৭৫০ জন ফের পরীক্ষায় বসলেন। রবিবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা এনটিএ।
সুপ্রিম কোর্ট এনটিএ’কে নির্দেশ দিয়েছিল, গ্রেস মার্কস পাওয়া পরীক্ষার্থীদের ফের পরীক্ষা নিতে হবে। তারপরেই রবিবার তাঁদের জন্য বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এনটিএ জানাচ্ছে সেই পরীক্ষায় ১৫৬৩ জনের মধ্যে ৮১৩ জন হাজির হন।
জানা গিয়েছে, চন্ডীগড়ের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মাত্র ২জন এমন পরীক্ষার্থী হাজির হন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। অন্যান্য পরীক্ষা কেন্দ্রেও একই ছবি উঠে এসেছে।
এদিন আবার বিহারের নওয়াদায় সিবিআই আধিকারিকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, ৫ মে দেশের ৪৭৫০টি কেন্দ্রে নিট নেয় এনটিএ। ৫৭১টি শহরের পাশাপাশি ১৪টি আন্তর্জাতিক কেন্দ্রেও পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২৩ লক্ষের বেশি ছাত্রছাত্রী সেই পরীক্ষায় বসেন। অভিযোগ, নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রের পড়ুয়াদের প্রশ্ন বিভ্রাট সহ অন্যান্য কারণ দেখিয়ে গ্রেস মার্কস দেয় এনটিএ। একই কেন্দ্রের বহু পড়ুয়া ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ পান। তারপরেই পরীক্ষার দুর্নীতি নিয়ে সরব হন পড়ুয়ারা। দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।
পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, নজিরবিহীন ভাবে ফুল মার্কস পেয়েছেন ৬৭ জন। ফরিদাবাদের একটি মাত্র পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পান ৬ জন। পরীক্ষা জালিয়াতির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে গোটা দেশ। সামনে আসে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগও।
প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্রের তরফে গোটা বিষয়টি বিরোধীদের চক্রান্ত হিসেবে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু বিহার পুলিশের তদন্তে প্রশ্নফাঁস চক্রের হদিস মেলে। বাধ্য হয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে হয় কেন্দ্রকে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেও, সেখানে বলা হয়, বিচ্ছিন্ন কিছু গরমিলের তদন্ত করে দেখতে হবে। বিরোধীদের অভিযোগ, তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি অভিযোগকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে কিভাবে দাগিয়ে দিল কেন্দ্র?
Comments :0