গত চার বছরে মুক্ত বিদ্যালয়ে পাশের হার সব থেকে কম। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী চার বছর মুক্ত বিদ্যালয় গুলো মিলিয় মাধ্যমিকে পাশের হার মাত্র ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ ৭০ শতাংশ পড়ুয়া মাধ্যমকি পাশ করতে পারেনি।
দিল্লির সরকারের পক্ষ থেকে এই মুক্ত বিদ্যালয় চালু করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে সেই সময় বলা হয় নবম এবং দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে পারবে না তারা এই মুক্ত বিদ্যালয় গুলোয় সুযোগ পাবে পড়ার এবং পরীক্ষায় পাশ করার। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে সরকার যেই উদ্দেশ্য নিয়ে এই প্রকল্প চালু করেছিল তাতে তারা সফল হয়নি। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২০২৪ সালে ৭৭৯৪ পড়ুয়া নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে এই প্রকল্পের আওতায়। মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় পাশ করেছেন মাত্র ২৮৪২ পড়ুয়া, পাশের হার ৩৭ শতাংশ।
মুক্ত বিদ্যালয় গুলোয় ২০১৭ সালে ৮,৫৬৩ জন, ২০১৮ সালে ১৮,৩৪৪ জন, ২০১৯ সালে ১৮,৬২৪ জন, ২০২০ সালে ১৫,০৬১ জন, ২০২১ সালে ১১,৩২২ জন, ২০২২ সালে ১০,৫৯৮ জন এবং ২০২৩ সালে ২৯,৪৩৬ জন নাম নথিভুক্ত করেন।
আরটিআই-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালে মাত্র ৩,৭৪৮ জন, ২০১৮ সালে ১২,০৯৬ জন, ২০১৯ সালে ১৭,৭৩৭ জন, ২০২০ সালে ১৪,৯৯৫ জন, ২০২১ সালে ২,৭৬০ জন, ২০২২ সালে ৩,৪৮০ জন এবং ২০২৩ সালে ৭,৬৫৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছিল। এর থেকে দেখা যায় যে গত চার বছরে, মুক্ত বিদ্যালয় গুলোয় মাত্র ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় থাকা পড়ুয়াদের প্রতি বিষয়ের জন্য ৫০০ টাকা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। চিত্রকলা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বা কম্পিউটার বিজ্ঞানে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১২০ টাকা ফি দিতে হবে।
এছাড়াও, পাঁচটি বিষয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০ টাকা, প্রতি বিষয়ের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা এবং ট্রান্সফার অফ ক্রেডিট (TOC) এর জন্য প্রতি বিষয়ের জন্য আলাদাভাবে ২৩০ টাকা চার্জ করা হয়।
পড়ুয়াদের মধ্যে পাশের হার বাড়ানোর জন্য দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদতে দেখা যাচ্ছে সেই প্রকল্পের যেই শুফল হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। বাড়েনি পাশের হার। কি কারণে এই প্রকল্প ব্যার্থ হলো তা নিয়ে থাকছে প্রশ্ন।
Open School
মুক্ত বিদ্যালয়ে মাধ্যমিকে পাশের হার মাত্র ৩০ শতাংশ

×
Comments :0