দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে ৩১ মার্চ রামলীলা ময়দানে সমাবেশ করছে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চে। ‘আপ’ নেতা কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারিকে গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ আখ্যা দিয়ে রবিবার দিল্লিতে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বিরোধী নেতারা।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন দিল্লির ‘আপ’ সরকারের মন্ত্রী গোপাল রাই, অতিসী, কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি অরবিন্দর সিং লাভলি, সিপিআই(এম) নেতা রাজীব কানোয়ার।
কানোয়ার বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ নামাচ্ছেন। কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি তার অন্যতম নমুনা। দিল্লির জনতা এই আচরণ মেনে নেবে না।’’
দিল্লির ৭টি লোকসভা আসনে এই নির্বাচনে ‘আপ’ এবং কংগ্রেসের বোঝাপড়া হয়েছে। হরিয়ানা এবং গুজরাটেও হয়েছে সমঝোতা। রাই বলেছেন, ‘‘বিরোধীদের ভয় দেখাতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীমুক্ত রাজনীতি করতে চাইছেন। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেন বা বিহারে তেজস্বী যাদবের মতো বিরোধী নেতাদের হয় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, নয়তো বারবার তলব করানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে।’’
দিল্লিতে আবগারি নীতি ঘিরে বেনিয়মের অভিযোগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। অভিযোগ, নীতি পর বাতিল হলেও বেসরকারি হাতে মদ বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে টাকার বিনিময়ে। ‘আপ’-র তহবিলে জমা পড়েছে টাকা।
‘আপ’ নেতানেত্রীরা বলছেন, এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত অরবিন্দ ফার্মার ডিরেক্টর শরৎ কুমার রেড্ডি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন চারটি সংস্থার থেকে নির্বাচনী বন্ডে ৫৫ কোটি টাকা পেয়েছে বিজেপি। ইডি যদিও তদন্তই চায় তা’হলে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করুক।
রাই এদিন বলেছেন,‘‘কেজরিওয়ালের পরিবারকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। ‘আপ’-র প্রধান দপ্তর সিল করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই ভূমিকা নিচ্ছে। যাতে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে না পারি।’’
লাভলি বলেছেন, ‘‘বিরোধীদের জন্য সমান সুযোগ নেই নির্বাচে। এই কি গণতন্ত্রের নমুনা? মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কংগ্রেসের ব্যঅঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে রাখা হয়েছে। তবে এভাবে আটকে রাখা যাবে না।’’
RAMLEELA RALLY KEJRIWAL
কেজরিওয়াল গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে ৩১ মার্চ ‘ইন্ডিয়া’-র সমাবেশ রামলীলায়
×
Comments :0