Malda Rape

গাজোলে গৃহবধূকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

রাজ্য জেলা

ফের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তথা স্থানীয় তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা মাসিদুর রহমান(৩৬)। এলাকায় প্রভাবশালী। সেই প্রভাবেই গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে মারধর করে বলপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। 
নির্যাতিতার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ১০টা নাগাদ ওই গৃহবধূর ঘরে ঢোকেন মাসুদুর। সেই সময় ঘরে একাই ছিলেন ওই গৃহবধূ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয় মাসুদুর। অভিযোগ সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে মারধর করে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। নির্যাতিতার চিৎকারে কাকা শ্বশুর এবং দেওর ছুটে আসেন। হাতেনাতে ধরে ফেলে অভিযুক্তকে। অভিযুক্ত কাকুতি-মিনতি করতে থাকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে আসে মাসিদুরের স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজনেরা। তারাই নির্যাতিতার পরিবারকে উল্টে মারধর করতে থাকে। এমনকি অভিযুক্তের পরিবারের হাত থেকে রেহাই পাননি নির্যাতিতা গৃহবধূও। মাথা ফাটিয়ে দেয় গৃহবধূর কাকা শশুড়ের। স্থানীয়রা অভিযুক্তকে তৃণমূল নেতাকে আটকে রাখলে পরিবারের লোকজন তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। সোমাবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মাসুদুর রহমানে বিরুদ্ধে গাজোল থানায় ধর্ষণ এবং মারধরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে নির্যাতিতা অভিযুক্ত মাসিদুর রহমান, তার স্ত্রী শাবানা পারভিন, শরিফুদ্দিন হক, আকিল আহমেদ, তাহাইফুল ইসলাম এবং সোমা খাতুন এই কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সোমবার অভিযুক্তের পরিবার পাল্টা নির্যাতিতা মহিলা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে। উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যায় গাজোল থানার পুলিশ। মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য নির্যাতিতাকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 
পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী কেরালায় শ্রমিকের কাজ করেন। রবিবার রাতে আমি একাই ছিলাম ঘরে, আমার ছোট্ট শিশু ঘুমিয়ে ছিল। রাত দশটা নাগাদ মাসিদুর আমার ঘরে ঢোকে। আমার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। শব্দ শুনে তার কাকা শ্বশুর এবং কাকাতো দেওর ধরে ফেলে মাসিদুরকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Comments :0

Login to leave a comment