ABHASH RALLY MANKAR

পঞ্চায়েতের মতো ফের শক্তিশালী করতে হবে লাল ঝান্ডাকে: আভাস

রাজ্য জেলা

রবিবার মানকরের রেল স্টেশন সংলগ্ন ফুটবল ময়দানে জনসভা।

এখন বাংলার মানুষ বুঝছে তৃণমূল বিজেপি উভয়ে জাতের নামে ধর্মের নামে মানুষকে ভাগ করে সব অধিকারকে কেড়ে নিতে চাইছে। পঞ্চায়েতের ভোটে মানুষ দেখিয়েছে বিজেপি তৃণমূল দুই শক্তিকে হারানো যায়। তাদের হারিয়ে লালঝান্ডাকে শক্তিশালী করতে হবে। 
রবিবার মানকরে সিপিআই(এম)’র ডাকে সমাবেশ এই আহ্বান জানিয়েছে। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী বলেছেন, ‘‘গাঁয়ে গঞ্জে কলে কারখানায় মানুষ এখন লালঝাণ্ডার সঙ্গে জোট বাঁধছে। জনগণের শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব বামপন্থীদের শক্তিশালী করে।’’
তিনি বলেন, ‘‘কষ্টে থাকা মানুষ যাতে এক হতে পারে, কৃষক-শ্রমিক-খেতমজুর যতে এক হতে না পারে, রাম-রহিম যাতে এক হতে না পারে, বাঙালি বিহারী যাতে এক হতে না পারে ওরা ভাগ করে। আম্বানির বাহাত্তর চ্যানেলে ৮০ কোটি দর্শকের কানে বিষ ঢালছে। গত লোকসভায় বলেছিল তৃণমূলকে আটকাতে বিজেপি, গত বিধানসভায় বলেছিল বিজেপি’কে আটকাতে তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে। মানুষ আজকে এই খেলা বুঝে ফেলেছেন।’’ 
মানকর রেলস্টেশন সংলগ্ন ফুটবল ময়দানে জনসভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির পুর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি, এসএফআই নেত্রী দীপ্সিতা ধরও। সভাপতিত্ব করেন পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য অচিন্ত্য মল্লিক। পূর্ব আর পশ্চিম বর্ধমানের মাঝামাঝি এই এলাকায় বহু মানুষ যোগ দিয়েছেন সমাবেশে।
সৈয়দ হোসেন বলেন, ‘‘দেশের কর্পোরেটের কর ছাড় হয়। কৃষকের ঋণ মকুব হয় না। মাত্র দশ বছরে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা কর্পোরেটের হাতে তুলে যায়। প্রতিদিন ৩০জন কৃষক আত্মঘাতী হন। বেকাররা আত্মঘাতী হচ্ছেন। আর সরকার সব দপ্তরে নিয়োগকে বন্ধ করে দিয়েছে। ব্যাঙ্ক বিমা খনি সর্বত্র। যাতে কর্পোরেট সস্তায় যুবদের শ্রম কিনতে পারে। সে জন্যই নির্বাচনের এই লড়াই মেহনতি মানুষের লড়াই। ’’
আভাস বলেছেন, ‘‘ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিয়ে কৃষকদের থেকে ফসল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে এফসিআই। কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে। চাষে খরচ বাড়ছে কৃষক দাম পাচ্ছেন না। অথচ বাজারে হু-হু দাম বাড়ছে। কৃষকের ফসল সরকারকে কিনতে হবে। সারের দাম কমাতে হবে। ভরতুকিতে বীজ দিতে হবে কৃষককে।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস তোলাবাজি করছ। কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছ। যে ক’টা রয়েছে সেখানে মজুরি একশো টাকা হলে শ্রমিক হাতে পাচ্ছেন চল্লিশ টাকা। তোমা ভাগ করে নিচ্ছ, লুট করে খেয়ে নিচ্ছ। জবাব দিতে হবে।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘লড়াইটা হলো ভাতের লড়াই, কাজের লড়াই। বিজেপি আর তৃণমূল তলায় তলায় সেটিং আছে। এখানকার কয়লা, লোহা, বালি, কাঁকড় ন্যাশনাল হাইওয়ে ধরে পাচার হচ্ছে। এ টাকা কোথায় যাচ্ছে সব ইডি সিবিআই জানে। সেটিং আছে বলে ধরে না। এরা পশ্চিমবঙ্গকে লুট করছে, ওরা গোটা দেশকে আদানির লুটের জন্য খুলে দিচ্ছে। বিশ কোটি বেকারের কাজ হওয়ার কথা। তা তো হয়নি বরং কাজ গিয়েছে। বাংলায় বলা হয়েছে ২ লক্ষ করে কাজ। তেরো বছরে ২৬ লক্ষ বেকারের কাজ হওয়ার কথা। সরকারি দপ্তরে ৬ লক্ষ পদ। বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে ১০ লক্ষ কর্মী সরকারি কোষাগার থেকে মাইনে পেতেন। এখন ৩-৪ লক্ষ মাত্র পান। সব জায়গায় সিভিক চলছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment