RPF Worker Viral Video

লাইনে কাজের মধ্যেই গড়ালো ট্রেনের চাকা, কোনোক্রমে বাঁচলেন কর্মী

রাজ্য

অভীক ঘোষ- ব্যান্ডেল

ট্রেনের নিচে লাইনে শুয়ে গাড়ি পরীক্ষা করছিলেন। সেই সময়ই আচমকাই গড়াতে শুরু করে ট্রেনের চাকা। এক প্রকার উপস্থিত বুদ্ধির জোরে বাঁচল আরপিএফ কর্মীর প্রাণ। হাড় হিম করা সেই ছবি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। 
ট্রেন চলতে শুরু করতেই মাথা ঠান্ডা রেখে উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে রেললাইনের মাঝে চুপচাপ শুয়ে থাকেন তিনি। কোনওক্রমে রক্ষা পায় তাঁর প্রাণ। ঘটনাটি ঘটেছে ব্যান্ডেলের রেল ইয়ার্ডে। 
জানা গেছে, ব্যান্ডেল আরপিএফ’র এই কর্মী মিথিলেশ কুমার ইয়ার্ডে যাওয়ার লাইনে একটি দূরপাল্লার ট্রেনের তলায় ট্র্যাকে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ সেই ট্রেনটি চলতে শুরু করে দেয়। তখনই নিজের উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে দু’টি লাইনের মাঝে ট্রেনের তলায় শুয়ে পড়েন। ট্রেন ওপর দিয়ে চলে গেলেও কোনো ক্ষতি হয়নি। আর এই ঘটনার ভিডিও করেন তাঁরই এক সহকর্মী। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও-তে মিথিলেশের সহকর্মীকে বলতে শোনা যায় নড়াচড়া না করতে। ট্রেন চলে গেলে বলার পর তিনি যেন ওঠেন। 
আরো জানা গেছে মিথিলেশ ব্যান্ডেলে আরপিএফ কনস্টেবল পদে কর্তব্যরত। গত বৃহস্পতিবার তিনি দূরপাল্লার ট্রেনের তলায় ট্র্যাকে তল্লাশি করছিলেন। সেই সময় এই ঘটনা। এরপরই তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে তাঁর বাড়ি বর্ধমানে। এখন তিনি ছুটিতে রয়েছেন। 


ব্যান্ডেল আরপিএফ অবশ্য এবিষয়ে কোন কিছু বলতে চায়নি। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, ঘটনাটি তাঁর জানা নেই। তিনি খোঁজ নেবেন। রেল সূত্রে খবর যোগাযোগের ত্রুটির কারণে এমন হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে আরপিএফ। 
যদিও এই ঘটনায় রেলের গাফিলতির কথা বলছেন আম জনতা। তাদের বক্তব্য প্রাণের মূল্য নেই অথচ স্টেশনগুলিকে প্রায় শপিং মল করে তোলার যুক্তি কোথায়। একজন কর্মী নিচে শুয়ে রয়েছেন, দ্রুত সে খবর জানানোর ব্যবস্থাই বা কোথায়? কেনই বা চালকের কাছে খবর পৌঁছায় না যে লাইনে ট্রেনের নিচে কাজ করছেন এক কর্মী।
নরেন্দ্র মোদী সরকার পরিকল্পিত ভাবেই রেল মন্ত্রককে ‘ক্যামেরা চালিত’ আত্মপ্রচারের মঞ্চে পরিণত করেছে বলে সরব হয়ে বিভিন্ন মহল। যাত্রী পরিষেবা থেকে যাত্রী সুরক্ষা বা রেলকর্মীদের নিরাপত্তা বারবার বিঘ্নিত হলেও হুঁশ ফেরেনি রেলের। বড় কোনও ঘটনা হলেই নিচের তলার কর্মীদের ওপর দোষ চাপানো হয় কেন, সে প্রশ্নও জোরালো। 
এদিনের ঘটনা নিয়ে সাধারণের মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। একজন কর্মী যখন দূরপাল্লার ট্রেনের তলায় ট্র্যাকে তল্লাশি করছিলেন সেই সময় কেন ট্রেনটি চলতে শুরু করে। রেলের আধিকারিকরা শুধু যোগাযোগের ত্রুটির কথা বললেও ভুল ব্যবস্থাপনা, ভুল নীতি, ভুল পদক্ষেপের কারণেই রেলের নিরাপত্তা দিন দিন ক্ষীণ হচ্ছে বলে মত ভুক্তভোগী মহলের। মোদীর শাসনকালে পর থেকেই শুধু প্রচার আর সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে মেতে। শুধু নিজের পিঠ নিজে চাপড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

Comments :0

Login to leave a comment