বুধবার ফের দুজন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করলেন লোকসভার অধ্যক্ষ। বুধবার অসংসদীয় আচরণের অভিযোগের কেরালার সিপিআই(এম) সাংসদ এএম আরিফ এবং কেরালা কংগ্রেস (মণি)-র সাংসদ টমাস চাজিকাদনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে লোকসভার অধিবেশন থেকে। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত লোকসভার ৯৭ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে শীতকালিন অধিবেশন থেকে। দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট ১৪৩ বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে সংসদের ভিতর লাফিয়ে পড়ে বিক্ষোভের ঘটনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির দাবী জানাচ্ছেন বিরোধী সাংসদরা। সোমবারই ৪৯ সংসদ কে সাসপেন্ড করা হয়েছিল সংসদের দুই কক্ষে। আগের সপ্তাহে আরো ১৫ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সংসদের একটি অধিবেশনে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়েছিল সোমবারই।
মঙ্গলবার নতুন দফায় শাস্তির পর একটি অধিবেশনে সাসপেন্ড হয়েছেন এমন সাংসদের সংখ্যা ১৪১ ছাড়িয়ে গেল।
মঙ্গলবার শাস্তির মুখে পড়েছেন শশী থারুর, ডিম্পল যাদব, ফারুখ আবদুল্লা, সুপ্রিয়া শোলের মতো সাংসদরা।
লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার যুক্তি, সংসদে ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়ার দায় সচিবালয়ের। সরকারের বক্তব্যের প্রয়োজন নেই।
রাজনৈতিক প্রায় সব অংশই মনে করছে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি। সুরক্ষা নিয়ে লম্বা চওড়া ভাষণ দিতে অভ্যস্ত বিজেপি লোকসভায় ঘটনা সামাল দিতে পারেনি। তার ওপর বাইরে থেকে ঢুকে পড়া বিক্ষোভকারীরা এসেছিলেন বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার পাশ নিয়ে। বিজেপি সরকারের মন্ত্রীরা তাই সংসদের মুখোমুখি হতে চাইছেন না। অথচ প্রধানমন্ত্রী সংসদ চলাকালীন বাইরে সংবাদ মাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
Comments :0