২৭ অক্টোবর আরব রাষ্ট্রগুলি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এনেছিল সাধারণ পরিষদে। সেই প্রস্তাব সমর্থন জানিয়েছিল ১২১টি দেশ। ভারত সেই সময় ভোটদানে বিরত থাকে। কিন্তু তারপরে ইজরায়েলের আক্রমণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে বুধবার অবধি প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। নিহতদের সিংহভাগ মহিলা এবং শিশু। জনবহুল এলাকা সহ হাসপাতালে বোমা ফেলার দৃশ্য গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এরফলে গোটা বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধবিরতির দাবি তীব্র হয়েছে।
৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বোমাবর্ষণ শুরু করে ইজরায়েল। সেই সময় ‘সন্ত্রাসবাদী’ হামলার নিন্দা করে খোলাখুলি ভাবে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
স্বাধীনতার পরথেকে সর্বদা স্বাধীন প্যালেস্তাইনের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে ভারত। বিজেপি সরকার উল্টো পথে হাঁটার চেষ্টা করে। এর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। সারা ভারত শান্তি ও সংহতি সংস্থা বা এআইপিএসও সহ বিভিন্ন সংগঠন জনমত গড়ার দিকে এগোয়। চাপের মুখে বিদেশমন্ত্রক বাধ্য হয় নীতি বদলাতে। ২ মাসের মধ্যে ভারত ফের অবস্থান বদলায়।
গাজায় সাধারণ মানুষের উপর চলা হামলা ঠেকাতে নজিরবিহীন ভাবে সরব হতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমী বিশ্বের একটা অংশকেও। বুধবার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে যুদ্ধ বন্ধের আর্জি জানিয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘গাজায় যেভাবে সাধারণ অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা বলয় সঙ্কুচিত হচ্ছে, তাতে আমরা আশঙ্কিত।’’
পশ্চিমী বিশ্ব মূলত ইজরায়েলের সমর্থক বলেই পরিচিত।
নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, লস এঞ্জেলেস, মিশিগান, ওয়াশিংটন ডিসি সহ আমেরিকার একের পর এক বড় শহরে যুদ্ধবিরোধী মিছিল এবং বিক্ষোভ হয়েছে। লন্ডনে কয়েক দফায় প্যালেস্তাইনের সমর্থনে পথ হেঁটেছেন ১০ লক্ষের কাছে মানুষ। যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে ভোট দিলেও আমেরিকা বাধ্য হয়েছে প্রকাশ্যে ইজরায়েলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বলেছেন, ‘‘ইজরায়েলের ইতিহাসে সবথেকে রক্ষিণশীল সরকার এই মুহূর্তে সেদেশের ক্ষমতায় আছে। তারফলে সঙ্কট মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।’’
বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন,‘‘দীর্ঘদিন স্বাধীন প্যালেস্তাইনের দাবিকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হবেনা।’’
Comments :0