বাঁচাতে হবে দেশকে। বাঁচাতে হবে বাংলাকে। আর দেশের সংসদকে তোলপাড় করে দিতে হবে মেহনতি জনতার দাবিতে। বিভাজন আর দুর্নীতির শক্তি তা পারবে না। তাই হারাতে হবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি-কে। জয়ী করতে হবে বামপন্থীদের। মেহনতীর দাবি তুলতে হবে সংসদে, দমদম কেন্দ্রে জেতাতে হবে সুজন চক্রবর্তীকে।
শুক্রবার দমদমের দুই প্রান্তে দুই প্রচার কর্মসুচিতে এই মর্মেই আহ্বান জানালেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। মিছিলে ছিলেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। জনসভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। জনসভায় বলেছেন ডিওয়াইএফআই সাধারণ সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জিও। এদিন ডানলপ থেকে কামারহাটির মিছিলে অংশ নেন প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বি টি রোড রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রোডের সংযোগস্থল থেকে কামারহাটি পর্যন্ত চলে। ছিলেন পার্টিনেতা মানস মুখার্জি, চিকিৎসক নারায়ণ ব্যানার্জি, সায়নদীপ মিত্র প্রমুখ। ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ।
সুজন চক্রবর্তীর প্রচারে এদিন যোগ দিয়েছেন প্রদেশে কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরীও।
নিউ বারাকপুর কৃষ্টি হলের সামনে জনসভায় বক্তব্য রাখেন সেলিম। সভাপতিত্ব করেন সুনীত ঘোষ। বক্তব্য রাখেন প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী, জাতীয় কংগ্রেসদের রাজ্য নেতৃত্ব সৌম্য আইচ রায়ও। বক্তব্য রাখেন সিপিআই নেতা শিব শংকর গাঙ্গুলি।
পানিহাটি বামফ্রন্ট এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ডাকে এদিনই অমরাবতী মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন মীনাক্ষী মুখার্জি। সভাপতিত্ব করেন শুভব্রত চক্রবর্তী। অধীর চৌধুরীর পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা হরিপদ বিশ্বাস প্রমুখ।
ইয়েচুরি বলেন, ‘‘ভারত ও বাংলাকে বাঁচাতে হবে। বিজেপি ও তৃণমূলকে হারাতে হবে। লক্ষ্য এটিই। এ রাজ্যে এটিই প্রধান দায়িত্ব। ভারত এবং বাংলাকে সবদিক থেকে ভুলুন্ঠিত করেছে এই দুই দল।’’
ইয়েচুরি বলেন, ‘‘সংসদে মানুষের কথা বলার লোক দরকার। মেহনতির দাবি নিয়ে বলার লোক দরকরা। শিক্ষা। কাজের দাবি তোলার মতো সাংসদ দরকার। দমদম কেন্দ্রে সে কাজ করতে পারেন কেবল সুজন চক্রবর্তীই। তাঁকে জয়ী করুন। কাস্তে হাতুড়ি তারা চিহ্নে ভোট দিন।’’
অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘‘বিজেপি আর তৃণমূলকে দেখছেন অনেকদিন ধরে। কে ভালো আর কে খারাপ বুঝে গিয়েছেন। নিজেদের অভিজ্ঞতায় ভোট দিন, সিদ্ধান্ত নিন। ভোট মানে আপনাকে প্রতিবাদ করতে হবে বিভাজনের, দুর্নীতির। জয়ী করুন সুজন চক্রবর্তীকে।’’
সেলিম জনসভায় বলেছেন, ‘‘সমাবেশের কথা নিয়ে এই পাঁচদিন পৌঁছাতে হবে মানুষের কাছে। পাড়ায়, মহল্লায়। ১ জুন ভোট এই কেন্দ্রে। এই পাঁচদিন পরিশ্রম করতে হবে, মেহনত করতে হবে। যাতে আগামী পাঁচ বছর মেহনতীর দাবি আর মেহনিতর কথাতেই আলোড়িত হয় দেশের সংসদ।’’
ভোট প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের তথ্য চাপার প্রয়াসের সমালোচনা করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে কারচুপি করে জিতেছে বিজেপি। আর দেশের ভোটে একই কায়দা নিতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। আমরা বলছি, যে বাক্স বদলাতে আসবে তার নক্সা বদলে যাবে। ভোটে কারচুপির অভিযোগ পৌঁছে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।’’
সেলিমও বলেছেন, ‘‘দেশ আর রাজ্যকে বাঁচাতে হলে জয়ী করতে হবে বামপন্থীদের। লক্ষ্য আমাদের এক, দেশ থেকে বিজেপি হটাও। আর আমরা বলছি ধর্মের নামে রাস্তায় নেমে শোরগোল করে মেহনতির মধ্যে বিভেদ তৈরি করো না। রাস্তা সবার। সবাইকে তার জীবনের কথা বলতে দিতে হবে। সেই দেশ আমরা চাই। সেই রাজ্য আমরা চাই। তাই জয়ী করতে হবে বামপন্থীদের, এই কেন্দ্রে সুজন চক্রবর্তীকে।’’
DUMDUM YECHURY
‘মেহনতীর দাবি তুলতে হবে সংসদে, দমদমে জেতাতে হবে সুজন চক্রবর্তীকে’
×
Comments :0