রেলের তরফে ‘আধুনিকিকরণ’ চলছে। খাতায় কলমে তার নাম অমৃত ভারত প্রকল্প। তারই মাঝে বুধবার ঘটল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক। এই ঘটনায় একাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ৩ যাত্রী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এদিন দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে বিকট শব্দ করে ভেঙে পড়ে জলের ট্যাঙ্ক। দুপুরের সেই সময়ে স্টেশনে বহু মানুষ ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন। ভেঙে পড়া ট্যাঙ্কের নীচে চাপা পড়েন তাঁরা। প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত সাধারণ রেলযাত্রীরা উদ্ধারকাজে হাত লাগান। ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে টেনে হিঁচড়ে কোনওক্রমে আহতদের বের করার কাজ শুরু হয়।
পরবর্তীকালে দমকল, পুলিশ এবং আরপিএফ’র কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। জানা যাচ্ছে, ট্যাঙ্কের জল ধারণের ক্ষমতা ছিল ১৫,৮০০ গ্যালন। জলের তোড়ে বহু যাত্রী ছিটকে রেল লাইনে পড়ে যান। ২৫ জনের কাছে আহত যাত্রীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৭জনের আঘাত গুরুতর।
ঘটনার জেরে বর্ধমান স্টেশনের ১,২,৩ এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে ১ এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে রেল চলাচল শুরু হয়। দুর্ঘটনার জেরে ব্যহত হয়েছে বর্ধমান-হাওড়া রুটের রেল যোগাযোগ।
এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও, পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র যাত্রী মৃত্যুর খবর অস্বীকার করেছেন।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, ২০২০ সালে বর্ধমান স্টেশনে ভেঙে পড়েছিল ঝুল বারান্দা। নিয়মিত সেফটি অডিট হয়না সঠিক ভাবে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব রয়েছে। বছর বছর রঙ করেই দায় ঝেড়ে ফেলা হয়। তারফলে ঘটছে এই ধরনের দুর্ঘটনা।
Comments :0