মানুষের পঞ্চায়েত গড়তে আন্দোলন চলছে। একশো দিনের কাজ, সরকারি আবাসন সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা দেদার লুট করেছে শাসকদল তৃণমূল। তার বিরুদ্ধে বামফ্রন্ট প্রার্থী সহ কর্মী সমর্থকরা জানকবুল লড়াইয়ে নেমেছেন এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে। গ্রামের মানুষের অভিযোগ সরকারি প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করতে পারেনি শাসক দল। প্রকৃত প্রাপকদের হাতে সরকারি সুবিধা পৌঁছে না দিয়ে তৃণমূল নেতারা বিত্তশালী হয়েছেন। গ্রামের মানুষ এবার শাসকের বঞ্চনার জবাব দিতে চান। বিনা লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ গ্রামের ক্ষেত মজুর, কৃষক, শ্রমজীবী শিক্ষক সহ ছাত্র যুবরাও। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। শেষ পর্যায়ের প্রচারে ইতিমধ্যে বাড়ি বাড়ি সংযোগ ও ভোটারদের সচেতন করার কাজ চলছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়েই।
বুধবার বিকেলে জেলা বামফ্রন্ট আহবায়ক নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, গত বারের শাসক দলের সন্ত্রাস আমাদের কর্মীরা দেখেছেন। তাই এবার প্রতিটি বুথেই আমাদের পার্টি সহ বিভিন্ন গণসংগঠনের কর্মীরা তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন। গ্রামের মহিলারাও এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। কোন বেচাল দেখলেই ছাত্র যুবদের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন বুথ কমিটির আহ্বায়ককে। তিনি আরো বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত শাসক দলকে গ্রামবাসিরা এবার ছুঁড়ে ফেলে দেবে। জেলা জুড়ে কৃষক, ক্ষেতমজুর, শ্রমিক, ছাত্র, যুব, মহিলা সহ শিক্ষকরা বাম প্রার্থীর হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। বাম প্রার্থীরা গ্রামে গিয়ে ভালো সারা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের সরকার ও জনবিরোধী নীতিতে বিশ্বাসী বিজেপি সরকারের প্রতিনিধিদের পরাস্ত করতে গ্রামবাসীরা জোট বেঁধেছেন বামফ্রন্টের সঙ্গেই। আমরা মানুষের পঞ্চায়েত গড়তে সব রকম লড়াইয়ে জন্য প্রস্তুত আছি বলে জানিয়েছেন তিনি।
Comments :0