WHO on criticized Israel

নরকে পরিণত হয়েছে গাজার হাসপাতাল, বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আন্তর্জাতিক

গাজার হাসপাতালে ইজরায়েলের হামলা নিয়ে মুখ খুললো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হুর প্রধান এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘হুর পক্ষ থেকে গাজার আল শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।’’ উল্লেখ্য ইজরায়েলের হামলার কারণে গাজার এই হাসপাতালে স্তব্ধ চিকিৎসা পরিসেবা। এক্স হ্যান্ডেলে হু’র প্রধান আরও লিখেছেন যে, ‘গোটা বিশ্ব এই পরিস্থিতিতে চুপ করে কখনও বসে থাকতে পারেনা। যেই হাসপাতালে মানুষের চিকিৎসা হওয়ার কথা যেখান থেকে প্রতিদিন মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি সেখানে আজ মানুষের মৃত দেহের সংখ্যা বাড়ছে।’ 

৭ আক্টোবর গাজা এবং ইজরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের ওপর হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলের ঘাতক বাহিনী। নেতানিয়াহু ঘোষনা করেছিলেন যে গাজাকে অবরুদ্ধ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। সেই মতো গাজায় কোন চিকিৎসা সমাগ্রী এমনকি প্রয়োজনীয় সামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে না ইজরায়েল। যার ফলে একাধিক হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলের হামলার কারণে ৪ হাজার ৬০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রায় তিনদিন গাজার এই হাসপাতালে কোন বিদ্যুৎ পরিসেবা নেই। নেই জল, খাবার, ওষুধ। এই পরিস্থিতি যুদ্ধ বিদ্ধস্ত প্যালেস্তাইনের মানুষদের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। 

গাজা স্ট্রিপে মোট ৩০টি হাসপাতালের মধ্যে ২০টিই বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বাকি হাসপাতালে কাজ চলছে কোনোমতে। ওষুধ নেই, অজ্ঞান করার ব্যবস্থা নেই, জ্বালানি নেই। এক মাস আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। 

প্যালেস্তাইনের মারাত্মক অভিযোগ, ভয়ঙ্কর দাহ্য এবং নিষিদ্ধ হোয়াইট ফসফরাস এখন হাসপাতালের ওপর ফেলছে ইজরায়েলের সেনা। 
গাজার হাসপাতালের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের পশ্চিম এশিয়া সংলগ্ন অঞ্চলের প্রধান প্যাব্রিজিও কারবনি লিখেছেন, ‘‘মর্মান্তিক দৃশ্য। আর্তরা বোমার আঘাত থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন হাসপাতালে। জল নেই, সরঞ্জাম নেই। বেশিক্ষণ এভাবে চলতে পারে না।’’
আল শিফা হাসপাতালের ডিরেক্টর সংবাদ প্রতিষ্ঠান আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ‘‘আর কিছুক্ষণ। আমরা মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি। সারা বিশ্বের চোখের সামনে আমাদের মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে।

সোশাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা পোস্টে বলা হয়েছে ভেন্টিলেশনে রয়েছে যে শিশুরা তাদৃর সুশ্রূষার উপায়ও আর থাকছে না। কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখতে হবে হাত দিয়ে। যন্ত্র চালানোর জ্বালানি বিন্দুমাত্র নেই।

 

Comments :0

Login to leave a comment