Bhapa Pitha

নামছে পারদ, সংক্রান্তির মুখে পসরা ভাপা পিঠের

জেলা

শীতের সকালে রায়গঞ্জ ব্লকের সুভাষগঞ্জ গ্রামে ভাপা পিঠের পসার নিয়ে প্রান্তিক গ্রামের মহিলার। ছবি বিশ্বনাথ সিংহ।

বিশ্বনাথ সিংহ -রায়গঞ্জ
শীতের সকালে রায়গঞ্জের গ্রাম থেকে শহর চাহিদা তুঙ্গে ভাপা পিঠের। রায়গঞ্জ ব্লকের সুভাষগঞ্জ গ্রামে ভাপা পিঠের পসার নিয়ে প্রান্তিক গ্রামের মহিলারা। রবিবার সন্ধ্যায় মরশুমের শীতলতম দিনে উত্তর দিনাজপুর জেলার বহু পাড়া মহল্লায় দেখা গেছে আগুন জ্বালিয়ে হাত পা সেঁকে নেওয়ার ছবি। হাওয়ার দাপটে স্পষ্ট হয়েছে পারদ পতন। পৌষ সংক্রান্তি সোমবার। তারপর থেকে পারদ আরও নামবে সেই পূর্বাভাসও রয়েছে। টানা এক মাসের ওপর বৃষ্টিহীন উত্তর দিনাজপুর।   
শীত যতই জাঁকিয়ে পড়তে শুরু করেছে, এরই মাঝে রমরমা ভাপা পিঠের বাজার। রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন জায়গায় গ্রামের মহিলারা ভাপ্পা পিঠের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। প্রতি বছরের মতো এবছরও সেই চিত্র দেখা গিয়েছে। উনুনের আঁচে হালকা ধোঁয়া উড়িয়ে তৈরি এই ভাপ্পা পিঠে খেতে ইতিমধ্যে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। গ্রামের মহিলারা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন শীতের মরশুমে বাড়তি উপার্জনের আশায়। অনেকে এই ভাপা পিঠে কে বলে থাকেন "শীতের দেশীয় ফাস্ট ফুড"। 
যেহেতু এ বছর ডিসেম্বরের একদম শেষ লগ্নে শীত পড়ছে তাই চালের গুঁড়ো, নারকোল আর সামান্য গুড় দিয়ে তৈরি এই পিঠের বিক্রি অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় কিছুটা ভালো বলে জানিয়েছেন পিঠে বিক্রেতা  সোমাদেবী দাস, পুষ্প দাসরা। একটা পিঠের দাম ৫ টাকা। বাজার করতে এসে এই পিঠে খেয়েছেন অনেকে। শীতের সকালে ভাপা পিঠে দিয়ে সাধারণ মানুষ নাস্তা সেরেছেন, এমনটাও জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। গ্রামের প্রান্তিক মহিলারা ভাপা পিঠে হাতে বানিয়ে বিক্রি করে কিছুটা বাড়তি উপার্জনের আশায় বুক বাঁধছেন। খাদ্য রসিক এক ক্রেতার কথায়, ফাস্ট ফুড সারা বছরই পাওয়া যায়, খাওয়া যায়। কিন্তু এই ভাপা পিঠে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যায়। তাই এর প্রতি আকর্ষণ আলাদা রকমের থাকা টাই স্বাভাবিক। 
জাঁকিয়ে শীত গোটা রাজ্যে। ৫ ডিগ্রি পারদ নেমেছে গত ৪৮ ঘন্টায়। স্বাভাবিকের চেয়ে ২–৩ ডিগ্রি কম দিনের তাপমাত্রা। শীতের দাপটে সন্ধার পরেই উত্তর দিনাজপুর জেলার বহু পাড়া মহল্লার রাস্তা ঘাট শুনশান, ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে চারপাশ। আবহাওয়া দপ্তর ছাড়াও কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ‘উত্তরে হাওয়ার দাপটে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে দু এক দিন। উত্তরে শুষ্ক আবহাওয়ায় শীতের কামড় থেকে রেহাই মিলছে না কিছুতেই। বরং দিন যত এগোচ্ছে, ততই ঠাণ্ডার প্রকোপ বাড়ছে। জবুথবু অবস্থা সবার। প্রায় প্রতিদিনই রাতের তাপমাত্রা কমছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আগামী সপ্তাহে একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা সহ একাধিক জেলায়। বৃহস্পতি ও শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে দার্জিলিঙ পাহাড়ের উঁচু এলাকায়।

Comments :0

Login to leave a comment