২০২৩ সালে শিক্ষার বার্ষিক রিপোর্ট, সংক্ষেপে ‘আসের ২০২৩’ এমনই তথ্য দিচ্ছে। বেসরকারি সংগঠন ‘প্রথম’ প্রতি বছরই সমীক্ষা চালিয়ে বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার এই রিপোর্ট তৈরি করে। সংগঠনটি জানাচ্ছে ২৬ রাজ্যের ২৮ জেলায় ৩৪ হাজার ৭৪৫ যুব এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে তৈরি হয়েছে এবারের রিপোর্ট।
সমীক্ষা প্রতিবেদন জানাচ্ছে, প্রতি পাঁচ নবীনের অন্তত একজন বলতে পারছে না ভবিষ্যতে কী ধরনের কাজে যুক্ত হতে আগ্রহী। যারা বলছে, তাদের কাছেও কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণার অভাব রয়েছে। কী পড়বে, কোথায় পড়বে, কী ধরনের কাজ খোঁজা উচিত, কী ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে- এমন সব প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব প্রায় কারও কাছে পাননি সমীক্ষকরা।
প্রতিবেদনে কাজের জগত এবং নিজেদের পড়াশোনার ধারা সম্পর্কে ধারনার অভাবে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৪-১৮ বছরের এই যুব অংশের সঙ্গে কাজ বা পরবর্তী ধাপের পড়াশোনা সম্পর্কে আলোচনা করার কেউ নেই। প্রতিবেদনের এই অংশ সরকারি দক্ষতা বৃদ্ধি প্রকল্প নিয়ে বিবিধ প্রচারে প্রশ্নও তুলছে।
একাংশের বক্তব্য, কাজের জগতের ধরন যেভাবে বদলেছে তার প্রভাব সমীক্ষায় পড়েছে। উচ্চতর শিক্ষায় যুক্ত হলেও বিরাট অংশের যুবকে স্বল্পমেয়াদী চুক্তিনির্ভর কাজে যুক্ত হতে হচ্ছে। অ্যাপ ভিত্তিক লেনদেনে মালপত্র সরবরাহ বা পরিষেবার অনিশ্চিত কাজে যুক্ত থাকতে হচ্ছে। বাস্তবে এই বিরাট অংশের পক্ষে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করার সুযোগ নেই।
কেন্দ্রে বিজেপি সরকার বিভিন্ন প্রচারে পেশানির্দিষ্ট দক্ষতা তৈরির ভোকেশনার শিক্ষার প্রসারের দাবি জানাচ্ছে। নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতেও এই ক্ষেত্রে জোর দিতে বলা হচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই অংশের মাত্র ৫.৬ শতাংশ ভোকেশনাল প্রশিক্ষণে যুক্ত। কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে যদিও ১৬ শতাংশ এই ধরনের কোর্সে যুক্ত হয়েছে। সমীক্ষা চালানো হয়েছে যে অংশের মধ্যে তার অল্প একটি অংশ ৬ মাস বা তার কম মেয়াদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণে যুক্ত।
ছাত্রদের ৪০.৩ শতাংশ এবং ছাত্রীদের ২৮ শতাংশ জানাচ্ছে বাড়ির কাজের বাইরে অন্য কোনও কাজে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা। তবে তাদের বড় অংশই পারিবারিক কোনও ব্যবসা বা খেতের কাজে যুক্ত।
Comments :0