জানা অজানা | নতুনপাতা
যুগের জ্ঞানের অধিকারী
তপন কুমার বৈরাগ্য
যুগের জ্ঞানের অধিকারী বলা হয় কালো খরগোশকে।যার
আর একনাম ইউরোপিয়ান খরগোশ।এই জাতীয় খরগোশ
ঠান্ডা গরম সবরকম আবহাওয়ায় বসবাস করতে পারে।মরুভূমি,
জলাভূমি,এমনকি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে হাজার ফুট উচ্চতায়
এদের দেখা যায়। পশ্চিম মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র,মেক্সিকো,ডার্টমুরে
এদের দেখা যায়। আবার আলাস্কার প্রচন্ড ঠান্ডা আবহাওয়াও এদের দেখা যায়।
এই কালো রঙের খরগোশ মহান ভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রাণী।
মানুষের কাছে এই প্রাণী যুগ যুগ ধরে যেন জ্ঞানের বার্তা বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। এরা উর্বরতা ও প্রাচুর্যের প্রতীক। এই প্রাণীর দেখা পেলে মানুষ ভাবে সে ভবিষ্যতে নিশ্চয় জ্ঞানের অধিকারী হবে।তাই এদের যুগের জ্ঞানের অধিকারী বলা হয়।
একটা সাদা খরগোশ দশ থেকে বারো বছর বাঁচে।কিন্তু কালো
খরগোশ কুড়ি থেকে পঁচিশ বছর বাঁচে। কেন এদের আয়ু সাদা
খরগোশের আয়ুর চেয়ে দ্বিগুণ বা তার বেশি?এদের দেহে
প্রচুর পরিমাণে মেলানিন তৈরি হয়।মা বাবারাও মেলানিন জিন বহন করে; যার জন্য এদের দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।
ফলে এরা বহুদিন বাঁচে।
আজ থেকে ৫৫মিলিয়ন বছর আগে মঙ্গোলিয়ার এদের আবির্ভাব
ঘটে। এরা মাটিতে গর্ত করে বাস করে।অনেক সুড়ঙ্গের সমাহারে এরা বাসস্থান তৈরি করে। বিপদ বুঝলে এরা যে কোনো সুড়ঙ্গ দিয়ে পালাতে পারে।সাদা খরগোশের চেয়ে এরা কিছু বড় হয়। কানগুলো বড় এবং খাড়া হয়।এরা মাটিরতলায় যে গর্তে বাস করে তাকে ওয়ারেন বলে।এরা খুব বুদ্ধিমান হয়।বিপদের আঁচ পেলে এরা ঘুমায় না।নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করে নিজেদের বাঁচাতে সমর্থ হয়। এরা ভালো লাফাতে পারে। আবার অনেক বেশি দ্রুত দৌড়াতে পারে। এরা বন্য।সহজে পোষ মানে না।টাটকা সবুজ ঘাস পাতা এদের প্রিয় খাদ্য।চারমাস বয়েস হলে এদের বাচ্চা হয়। একসঙ্গে পাঁচ থেকে দশটা বাচ্চা প্রসব করে।এরা স্তন্যপায়ী প্রাণী। যাদু ও আশ্চর্যের পৃথিবীতে কালো খরগোশ সকলের কাছে এক বিস্ময়কর ও দুর্লভ প্রাণী।
Comments :0