এক বছরেই সামরিক সংঘাতের সংখ্যা ৫৩। ২০২৩ সালের এই হিসেব দিচ্ছে অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সংখ্যার বিচারে এত সামরিক সংঘাত কোনও এক বছরে হয়নি।
সামরিক সংঘাতের ২৮টি কেবল আফ্রিকায়, এশিয়ায় ১৭টি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে নরওয়ের এই বিশ্বখ্যাত সংস্থা। মধ্য প্রাচ্যে ১০টি, ইউরোপে ৩টি এবং আমেরিকায় একটি সামরিক সংঘাত এসেছে তালিকায়।
রাশিয়া-ইউক্রেন সামরিক সংঘাত এবং প্যালেস্তাইনের গাজায় ইজরায়েলের মাগাতার সামরিক আক্রমণই সারা বিশ্বের নজরে থেকেছে বেশি। রাষ্ট্রসঙ্ঘেও গাজায় সংঘর্ষ বিরতির পক্ষে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। তাতে যদিও ইজরায়েল থামছে না। গাজার হাসপাতালে উপচে পড়ছে আহত নিহতের স্রোত। ইজরায়েলের সেনা আকাশ থেকে বোমা ফেলে গাজার প্রায় সব বড় হাসপাতালকে অকেজো করে রেখেছে।
এর মধ্যেই মার্কিন বিদেশসচিব অ্যন্টনি ব্লিঙ্কেন গাজায় সংঘর্ষবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন। গাজার হামাস নেতা সামি আবু জুহরি বলেছেন, ব্লিঙ্কেনের প্রস্তাব ইজরায়েলের দিকে হেলে রয়েছে। আর হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধানইসমায়েল হানিয়ের অভিযোগ, সংঘর্ষবিরতি আটকানোর জন্য সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে ইজরায়েল।
শনিবার মধ্য গাজার নুসেইরত উদ্বাস্তু শিবিরে ইজরায়েল বোমা ফেলেছে। নিহত অন্তত ২৭৪। তার মধ্যে অন্তত ৬৪ শিশুও রয়েছে।
অসলোর শান্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্যে এই বিপন্ন বিশ্বের ছবিই উঠে এসেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত না মেটায় আশঙ্কা জানানো হয়েছে।
তথ্য জানিয়েছে, সংঘাতের সংখ্যা বাড়লেও আক্রান্ত দেশের সংখ্যা ২০২৩-এ কমে হয়েছে ৩৪। ২০২২-এ ৩৯টি দেশ সামরিক সংঘাতের কবলে ছিল।
মধ্য প্রাচ্যে আইসিস’র মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ফের নড়াচড়ায় জানানো হয়েছে উদ্বেগ। বলা হয়েছে, এই ধরনের সংগঠন শান্তি এবং ত্রাণকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। সংঘাতের কবলে থাকা এলাকায় আর্ত মানুষের সহায়তার ন্যূনতম রাস্তাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
armed conflict 2023
নজরে গাজা, সামরিক সংঘাত সর্বোচ্চ ২০২৩-এ
×
Comments :0