Election Review Poli Bureau

হিন্দুত্ব কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার আহ্বান পলিট ব্যুরোর

জাতীয়

রাজস্থানের সিকর কেন্দ্রে জয়ের পর সিপিআই(এম) নেতা অমরা রাম। রয়েছেন হান্নান মোল্লা, সীতারাম ইয়েচুরি সহ নেতৃবৃন্দ।

বিজেপি’র আসন ২০ শতাংশ কমেছে। ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের সঙ্গে বিজেপি’র জোট এনডিএ’র ভোট শতাংশের ফারাক ২ শতাংশেরও কম। বিজেপি’র একার নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা নেই লোকসভায়। কিন্তু মোদীর একাধিপত্য কায়েমের প্রক্রিয়া জারি থাকবে। ফলে ফ্যাসিবাদী কায়দায় উগ্র হিন্দুত্ব কর্তৃত্ববাদ কায়েমের বিরুদ্ধে লড়াই শক্তিশালী করতে হবে। সংসদের ভেতরে এবং বাইরে জারি রাখতে হবে এই লড়াই।
দিল্লিতে বৈঠকের পর, সোমবার, এই আহ্বান জানিয়েছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। বৈঠকে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করা হয়েছে। 
পলিট ব্যুরো বলেছে, লোকসভায় বামপন্থীদের আসন সামান্য বেড়েছে। সিপিআই(এম) ৪, সিপিআই ২ এবং সিপিআই (এমএল) ২ আসনে জয়ী হয়েছে। কিন্তু বামপন্থীদের সামগ্রিক ফলাফলে, বিশেষ করে কেরালায়, অসন্তোষ জানিয়েছে পলিট ব্যুরো। রাজ্যস্তরে আলোচনার পর বামপন্থীদের ফলাফল নিয়ে বিশদে পর্যালোচনা করবে পলিট ব্যুরো। 
পলিট ব্যুরো বলেছে, চারশো আসনের আওয়াজ তুলে বিজেপি শেষ করেছে ২৪০-এ। লোকসভায় নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসনের থেকে ৩২ আসনে পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের তথ্য জানাচ্ছে এনডিএ’র সব শরিকের মিলিত ভোট ৪৩.৩১ শতাংশ। আর ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের শরিকরা পেয়েছে ৪১.৬৯ শতাংশ ভোট। 
পলিট ব্যুরো মনে করিয়েছে বিরোধীদের ওপর ব্যাপক আক্রমণের মধ্যে হয়েছে এই নির্বাচন। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করা হয়েছে। অর্থশক্তির বেলাগাম ব্যবহার হয়েছে। বিরোধী দুই মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে ঢোকানো হয় নির্বাচনের মুখে। কংগ্রেসের এবং সিপিআই(এম)’র একটি জেলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়া হয়। বিরোধীদের একতা ভাঙতে সব চেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি। জনতা দল (ইউ)-কে ফের পক্ষে টেনে সক্ষমও হয়। 
পলিট ব্যুরো বলেছে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা নিলে এই ফলাফল বিজেপি’র পক্ষে আরও খারাপ হতো। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো ভাষণ আটকাতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। এমনকি ভোটদানের সংখ্যা, প্রথম দুই দফায়, জানাতে পর্যন্ত চায়নি কমিশন। সংবাদমাধ্যমের বিরাট অংশকেও নিয়ন্ত্রণ করেছে বিজেপি। তার ফলে সংবাদমাধ্যম বুথফেরত সমীক্ষার ফলাফল বিজেপি’র পক্ষে প্রচুর বাড়িয়ে বলেছে। বিজেপি অর্থশক্তি বিভিন্নভাবেই ব্যবহার করেছে। অনেক জায়গায় ভোটদাতাদের প্রভাবিত করতে নগদ টাকা বিলানো হয়েছে। 
পলিট ব্যুরো বলেছে, ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ জনতার জীবনজীবিকার বিষয়েই প্রচার চালিয়েছে। সংবিধান, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকারের বিপদকে প্রচারে রেখেছে। কৃষক আন্দোলন ফলাফলকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তর প্রদেশে কৃষক আন্দোলনের বিভিন্ন অঞ্চলে বিজেপি ৩৮ আসন খুইয়েছে। 
ভোটের দিনই ঘোষণা হয়েছিল মেডিক্যালে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা ‘নিট’-র ফল। তা নিয়ে গরমিল ধরা পড়েছে। চলছে প্রতিবাদ। পলিট ব্যুরো যাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment