অনির্বাণ দে: হরিহরপাড়া
চাই ইনসাফ। দুই শিশুর জন্য, ইনসাফ চাই রেন্টু শেখের স্ত্রীর জন্য। হরিহরপাড়ার নিয়ামতপুরে শহীদ কমরেড রিন্টু শেখের বাড়ি গিয়ে দাবি জানালেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি এবং রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা।
ডিওয়াইএফআই’র ব্রিগেড সমাবেশকে কেন্দ্র করে এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে বক্তব্য জানান প্রাক্তন যুব নেতা এবং সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনেই হয়েছিল হামলা। বুথের ১০০মিটারের মধ্যেই লোহার রড, লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে পেটানো হয়েছিল। ছিল না কেন্দ্রীয় বাহিনী, বুথে মোতায়েন ছিল মাত্র একজন পুলিশকর্মী। শাসক দলের বিধায়ক ও তাঁর পুত্রের মদতে চলে এই নৃশংস আক্রমণ। এক সপ্তাহ ধরে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন কমরেড রিন্টু শেখ (৪৩)। এক সপ্তাহ পরে অবশেষে এনআরএস হাসপাতালে মারা যান তিনি।
প্রায় চার মাস কাটতে চললেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্তরা। তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে,ভয় দেখাচ্ছে। সবটাই পুলিশ আর তৃণমূল নেতাদের আশ্রয়ে।
কেন এরকম হবে? কেন খুনীরা অবাধে ঘুরবে আর শহীদ পরিবার আতঙ্কে থাকবে? শাস্তি চাই রিন্টু শেখের খুনীদের।
বুধবার সকালেই হরিহরপাড়ার নিয়ামতপুরে যান যুব নেতারা। নিয়ামতপুরে রিন্টু শেখের বাড়িতে ভিড় করেছিলেন গ্রামের মানুষও। এদিন যুব নেতাদের রেন্টু শেখের স্ত্রী জান্নাতুন বিবি এদিন বলেন, " কেস তুলে নিতে বলছে ওরা। আবার খুন করার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু আমরা ভয় পাচ্ছি না। এই লড়াই আমরা লড়ব"।
কমরেড রিন্টু শেখের বৌদি রাশিদা বিবি গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআই(এম) প্রার্থী হয়েছিলেন। রিন্টু শেখের বাড়ি লাগোয়াই তাঁর বাড়ি। তিনি জানান, খুনের ঘটনায় ২২ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হরিহরপাড়া থানায়। মূল অভিযুক্তরা শুধু হুমকি দিচ্ছে তায় নয়, বাড়িতে চড়াও হচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল, রাতের অন্ধকারে সেই ক্যামেরাও ভাঙার চেষ্টা হয়েছে।
অবিচারের বিরুদ্ধে হরিহরপাড়ার মানুষ লড়াই করছেন। ইনসাফ যাত্রা সেই লড়াইয়েরই অংশ।
Comments :0