INSAF JATRA BARASAT

দু্র্নীতিবাজ, দাঙ্গাবাজ হটাও, সরব ইনসাফ যাত্রা

রাজ্য

যুবদের আহ্বানে সাড়া জনতার। ছবি ফেসবুক থেকে।

সুভাষ পারিয়াল: বারাসত

ডিওয়াইএফআই’র ইনসাফ যাত্রায় বারাসতে হাজারও কণ্ঠে আওয়াজ তুলেছে চাই লক্ষ হাতে কাজ। চাই নতুন শিল্পস্থাপন। কাজ ও শিক্ষার দাবিতে, দুর্নীতিবাজ দাঙ্গাবাজের বিরুদ্ধে বুধবারের ইনসাফ মিছিল শুরু হয় বারাসতের শতদল ময়দান থেকে। শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত সভা হয়। বারাসতে ইনসাফ যাত্রা মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ ফায়ার ব্রিগেডের সামনে পৌঁছায়। এরপর মশাল মিছিল নিয়ে নেতৃবৃন্দ আসেন হেলাবটতলার মিলনী মাঠে। সেখানে সমাবেশ শুরুর কথা ছিল সন্ধে ৭টায়। রাত ১১টা নাগাদ মাঠে ঢোকার আগে বিবেকানন্দ ও সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে মালা দিয়ে যখন সমাবেশস্থলে নেতৃবৃন্দ পৌঁছান, তখনও প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও মানুষের ভিড়। সমাবেশে এবিটিএ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ব্রিগেড সমাবেশের জন্য ৫ হাজার টাকা এবং আলেখ্য মুখার্জি ৫ হাজার টাকা মীনাক্ষী মুখার্জির হাতে তুলে দেন। 
বুধবার বারাসতের শতদল ময়দান থেকে ইনসাফ যাত্রায় যৌবনের ডাকে জনগণের ব্রিগেডকে সফল করতে পা মেলান সংগঠনের সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, ছাত্র আন্দোলনের সর্বভারতীয় নেত্রী দীপ্সিতা ধর, যুবশক্তির সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত, জেলা সভাপতি সফিকুল সরদার, সম্পাদক সপ্তর্ষি দেব, প্রাক্তন যুব নেতা পলাশ দাস, পুলক কর, ঝন্টু মজুমদার, দিলীপ সাহা, অভিনেতা দেবদূত ঘোষ এবং গণআন্দোলনের নেতা মৃণাল চক্রবর্তী, বাবুল কর, আত্রেয়ী গুহ, সত্যসেবী কর, যুব লিগের রাজ্য নেতা তাপস সিনহা। এদিন বারাসতের গণআন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, মিছিলে থাকা নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এরপর মিছিল ফরওয়ার্ড ব্লক অফিসের সামনে এলে নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা দেন ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। মিছিল শেঠপুকুরের সামনে এলে সেখানে আদিবাসী মহিলারা ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেন। এদিনের মিছিল ডাকবাংলো মোড়ে এলে সারাভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মিছিলে ছিল আদিবাসী নৃত্য। ইনসাফ যাত্রা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়েকশত মানুষের উপস্থিতিতে পৌঁছায় মধ্যগ্রামের মাইকেল নগরে। সেখানে হয় প্রচার সভা। এদিন সকালে ইনসাফ যাত্রীদের কয়েকহাজার মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির সামনে। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সভায় মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, মধ্যমগ্রামের মানুষ মনে রেখেছে এক ভয়ানক নারী নির্যাতনের ঘটনায়, আর এখন যোগ হয়েছে ইডি, সিবিআই হামলা। এই লজ্জা থেকে মধ্যমগ্রামবাসীদের মুক্তির একমাত্র উপায় কেন্দ্রের শাসক দলকে লোকসভা নির্বাচনে পর্যুদস্ত করা। সেই লক্ষ্যেই আগামী ব্রিগেড সমাবেশে সর্বোচ্চ জমায়েতের আহ্বান জানান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সপ্তর্ষি দেব, সফিকুল সরদার, তাপস সিনহা, দেবদূত ঘোষ। এদিনের সভা থেকে ব্রিগেড সমাবেশের জন্য ১২ জুলাই কমিটি ও রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে ১০ হাজার, মধ্যমগ্রাম পৌরকর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ৩ হাজার, দিগবেরিয়া স্মল ইন্ডাস্ট্রির সিআইটিইউ’র পক্ষ থেকে আহমেদ আলি খান ৫ হাজার টাকা ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে মোট ৩৪ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় মীনাক্ষী মুখার্জির হাতে। এরপর ইনসাফ যাত্রা পৌঁছে যায় বাগুইআটিতে।
বাগুইআটিতে পদযাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তারপর মিছিলে নতুন করে অংশ নেন ময়ূখ বিশ্বাস, সোমা দাস চক্রবর্তী, শুভজিৎ দাশগুপ্ত, পরিমল মিস্ত্রি, তাপস মালাকার, পরিচালক অনিন্দিতা সর্বাধিকারী প্রমুখ। মিছিলে যোগ দেয় মতুয়া দল, ধামসা মাদল নিয়ে। এরপর ইনসাফ যাত্রা চিনার পার্ক, ডিরোজিও কলেজ হয়ে রাইগাছি, রাজারহাট চৌমাথায় আসে। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সভা হয়। এরপর ইনসাফ যাত্রা পৌঁছায় শেখরপুরে, সেখানে সমাবেশ হয়। এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ইনসাফ যাত্রা শেষ হয়।

Comments :0

Login to leave a comment