প্রবীর দাস
এ এক অন্য লক্ষ্মী। দু'হাতে ঘর সামলান। আবার বাইরেটাও সামলান সমান তালে। প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলে লোনা মাটিতে এ এক অন্য লক্ষ্মী।
মোটর সাইকেল মেকানিক লক্ষ্মী। তাঁকে কোনো ইনস্টিটিউট থেকে টেকনিক্যাল পাঠ নিতে হয়নি। স্বামীর সঙ্গে কাজ করতে করতে নিজের অজান্তেই লক্ষ্মী হয়ে উঠেছে পাকাপোক্ত মোটর মেকানিক।
হ্যাঁ, লক্ষ্মী বৈদ্য।
উত্তর ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বরূপকাঠি গ্রামে তাঁর বাস। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে এসে হাতে নিয়েছিলেন হাতা-খুন্তি। সংসারে একটু স্বাচ্ছন্দ্য আনতে সেই হাতেই তুলে নিয়েছেন হাতুড়ি স্লাগরেঞ্জ সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি।
স্বরূপকাঠি বাজারে গেলেই দেখা মিলবে মোটর সাইকেল সারাইয়ের সরঞ্জাম হাতে লক্ষ্মীকে, সদাব্যস্ত। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এ কাজ করে চলেছেন স্বামীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।
শুরু করেছিলেন সাইকেল, ভ্যান রিক্সা দিয়ে। লক্ষ্মী বৈদ্য জানালেন সে কথা। প্রবল ইচ্ছা শক্তি তাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। স্বরূপকাঠি বাজারে আসা মানুষজন, ব্যবসায়ীদের তেমন মনোভাব জানা গেল তাঁদের সাথে কথা বলে। জীবন সংগ্রামে লড়াই করে এ যে এক হার না মানার গল্প।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মেয়ে হলেও মোটরবাইক সারিয়ে ইতিমধ্যে তাক লাগিয়েছেন লক্ষ্মী। সংসারে অভাব অনটনের মধ্যে জীবন সংগ্রামকে মেনে নিয়েছিলেন সহজেই। আর বুঝেছিলেন যেভাবে হোক দমে গেলে চলবে না। হাতুড়ি রেঞ্চ নিয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন লক্ষ্মী বৈদ্য।
Comments :0