NCP reject Pawar's resignation

পাওয়ারের পদত্যাগ পত্র খারিজ দলে

জাতীয়

শরদ পাওয়ারের পদত্যাগ পত্র গ্রহন করলো না তাঁর দল। সভাপতি পদ থেকে পাওয়ারের পদত্যাগের পর দলের পক্ষ থেকে একটি কমিটি তৈরি করা হয় নতুন সভাপতি বাছাইয়ের জন্য। শরদ পাওয়ার নিজেই সেই কমিটি গঠন করেছিলেন। পাওয়ারের পদত্যাগের পর বিভিন্ন মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছলি যে শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার দলের সভাপতি হতে পারেন। কিন্তু এদিন সভাপতি বাছাই করার জন্য যেই কমিটি গঠন করা হয়েছিল তারা পাওয়ারের পদত্যাগ পত্রকে প্রত্যাক্ষান করেছেন। দল পাওয়ারের পদত্যাগ পত্র খারিজ করলেও অজিত পাওয়ারকে কোন বিশেষ দায়িত্ব দেয়নি।

শুক্রবার সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, জম্মু এবং কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আব্দুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ একাধিক নেতা পাওয়ারের সাথে আলোচনা করেন তাঁর পদত্যাগের বিষয় নিয়ে। উল্লেখ্য ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে যেই বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়ে উঠছে তার জন্য শরদ পাওয়ার একটি ভূমিকা পালন করছেন বামপন্থী রাজনৈতিক দল গুলির সাথে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর এই সিদ্ধান্ত বিরোধী ঐক্যের পক্ষ খারাপ হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

২০১৮ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই অজিত পাওয়ার এবং বিজেপি সক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি তাঁর কিছু মন্তব্য এতে নতুন জল্পনা তৈরি করেছে। তবে সূত্রের খবর এনসিপির পক্ষ থেকে মহা বিকাশ আঘাধি জোটের দুই সঙ্গী কংগ্রেস এবং শিব সেনার উদ্ধব থ্যাকারে গোষ্ঠীর সাথে আলোচনা চালাচ্ছে যাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে অজিতকে জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী করার হয়।

তবে এনসিপি’র একটি অংশ চায় অজিত নয় শরদ পাওয়ারের পর দলের সভাপতি হোক লোকসভার সাংসদ সুপ্রিয়া শোলে। ২০০৯ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ রয়েছেন তিনি। বিভিন্ন বিষয়ে লোকসভায় শোলের আলোচনা অনেকের জজর কেড়েছে। লোকসভায় বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণও শানিয়েছেন এনসিপির এই সাংসদ। 

দলের বর্ষীয়ান নেতা ছাগান ভুজবাল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘অজিত পাওয়ার রাজ্য রাজনীতি সামলাক এবং শোলে জাতীয় রাজনীতি। পাওয়ার যদি সভাপতি না থাকতে চান তবে সু্প্রিয়া শোলে একমাত্র ব্যাক্তি দলের মধ্যে যিনি পাওয়ারের পর সভাপতি হতে পারেন।’’

Comments :0

Login to leave a comment