জাতীয় শিক্ষানীতির প্রভাবে সাধারণ মানুষ গরীব মানুষের শিক্ষার অধিকার ধ্বংসের প্রয়াসের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে রাইট টু এডুকেশন ফোরামের দ্বিতীয় হুগলী জেলা কনভেনশন হল শুক্রবার বৈদ্যবাটি সত্যজিৎ রায় ভবন অডিটোরিয়ামে।
অধ্যাপক জয়তী চক্রবর্তী জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিল করা এবং পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার সর্বনাশ রুখে দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ওয়েবকুটার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কেশব ভট্টাচার্য বলেন জাতীয় শিক্ষানীতি হল শিক্ষার্থীদের মনে প্রভাব ফেলে একটা ধর্মান্ধ সমাজ তৈরি করার প্রয়াস। সারা দেশ জুড়ে শিক্ষার বিস্তার হবে। এতবড় জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ তে কোথাও বলা হলনা এত বড় প্রয়াসের অর্থ কোথা থেকে বরাদ্ধ হবে? এই নয়া শিক্ষানীতি কর্পোরেটের স্বার্থে পরিচালিত একটা প্রয়াস। ওয়েবকুটার রাজ্য কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক কুন্তল চট্টোপাধ্যায় বলেন শিক্ষানীতি নামক দূর্নীতি টাকে মহামারীর সময়ে মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে সরকার।
একদিকে জাতীয় শিক্ষানীতির দূর্নীতি ও রাজ্যের শিক্ষার নৈরাজ্য ও দূর্নীতি তার মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে। প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখতে গিয়ে আহ্বায়ক ও এবিপিটিএ রাজ্য সভাপতি মোহনদাস পন্ডিত বলেন শিক্ষাকে পন্য করার সরকারী নীতির বিষকে রুখতে গেলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাইট টু এডুকেশন ফোরামের পক্ষ থেকে প্রতিটা ব্লকে ও সমস্ত পৌর অঞ্চলে আগামী তিনমাসের মধ্যে গণ-কনভেনশন সংগঠিত করা হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি এবং রাজ্যের শিক্ষার সর্বনাশ রুখে দিতে কনভেনশন করা হবে।
এসএফআই জেলা সভাপতি অর্ণব দাস(বাদশা) বলেন নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি সংবিধানের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূল শর্তগুলির ওপর আঘাত হেনেছে। আদপে শিক্ষার ওপর কেন্দ্র ও রাজ্যের পেটোয়া লোকেদের বসিয়ে দেওয়ার কৌশল। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক নিলয় সাহা, প্রিয়রঞ্জন ঘটক ও কমল মল্লিক সহ শিক্ষা মহলের বিশিষ্টরা। সভা পরিচালনা করেন মৃণালকান্তি ঘোষ, স্বপন চট্টোপাধ্যায়, নরেন দে, সুদীপ তরফদার কে নিয়ে গঠিত ৪ জনের সভাপতিমন্ডলী। আয় ব্যয়ের হিসাব পেশ করেন আহ্বায়ক তথা এবিপিটিএর রাজ্য সভাপতি মোহনদাস পন্ডিত। কনভেনশনে দুই শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছিলেন। কনভেনশন থেকে নতুন সভাপতিমন্ডলী ও আহ্বায়কমন্ডলী সহ কমিটি গঠিত হয়।
Comments :0