Supreme Court strikes down electoral bonds

ইলেক্টোরাল বণ্ড অসাংবিধানিক - সুপ্রিম কোর্ট

জাতীয়

ইলেক্টরাল বন্ড নিয়ে সিপিআই(এম)-র বিরোধীতাকে কার্যত মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচনী বণ্ডকে অসাংবিধানিক রায় দিয়ে বাতিলের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। প্রথম থেকে এই নির্বাচনী বণ্ডের বিরোধী একমাত্র রাজনৈতিক দল সিপিআই(এম)। এই মামলায় অন্যতম পক্ষ ছিল সিপিআই(এম)।
লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিল, যার ফলে রাজনৈতিক তহবিলের একটি বিতর্কিত পদ্ধতির অবসান ঘটল, যা শুরু থেকেই তদন্তাধীন ছিল। এই রায়ে অনেকটাই ধাক্কা খেল বিজেপি এবং এ রাজ্যে তৃণমূল। দুই দলই এই পদ্ধতির মাধ্যমে কার্যত টাকার পাহাড় জমা করেছে। এই পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশি টাকা জমা করেছে বিজেপি- ৫,২৭১.৯৭। এরপরেই রয়েছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। কংগ্রেসের অর্থের পরিমাণ ৯৫২.২৯ এবং তৃণমূলের ৭৬৭.৮৮ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একটি সর্বভারতীয় দল হিসেবে কংগ্রেস এই তহবিল সংগ্রহ করেছে। আশ্চর্যজনকভাবে একটি আঞ্চলিক দল হয়ে শুধুমাত্র গত এক বছরেই তৃণমূলের আদায়কৃত অর্থের পরিমাণ এক বছরে বেড়েছে প্রায় ১২০০ শতাংশ! যার মধ্যে বন্ড থেকেই আদায় ৯৬ শতাংশ। অন্যদিকে সর্বভারতীয় দল হিসেবে সিপিআই(এম)’র আয়ের পুরোটাই এসেছে গণসংগ্র থেকে এবং লেভি থেকে।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট ইস্যুকারী ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে (এসবিআই) অবিলম্বে নির্বাচনী বন্ড ইস্যু বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প সংবিধানের ১৯(১)(এ) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী এবং অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কোম্পানি আইন সংশোধনও অসাংবিধানিক। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ইস্যুকারী ব্যাঙ্ককে অবিলম্বে নির্বাচনী বন্ড ইস্যু বন্ধ করতে হবে।
২০১৯ সালে এই প্রকল্পের অন্তর্বর্তী আদেশ থেকে বর্তমান তারিখ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলির প্রাপ্ত সমস্ত নির্বাচনী বন্ড অনুদানের বিস্তারিত রেকর্ড ভারতের নির্বাচন কমিশনকে (ইসিআই) সরবরাহ করার জন্য শীর্ষ আদালত এসবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রধান রায় দেওয়ার সাথে সাথে আদালত সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, বিচারপতি খান্না কিছুটা ভিন্ন যুক্তি দিয়েও একমত মতামত লিখেছেন। উভয় রায়ই দুটি মূল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে, প্রথমত, নির্বাচনী বন্ড স্কিম অনুসারে রাজনৈতিক দলগুলিকে স্বেচ্ছা অনুদানের তথ্য প্রকাশ না করা এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৯সি ধারার সংশোধনী, কোম্পানি আইনের ১৮৩(৩) ধারা, আয়কর আইনের ১৩এ(বি) ধারা সংবিধানের ১৯(১)(এ) অনুচ্ছেদের অধীনে তথ্যের অধিকার লঙ্ঘন করে এবং দ্বিতীয়ত, কোম্পানি আইনের ১৮২(১) ধারার সংশোধনী অনুসারে রাজনৈতিক দলগুলিকে সীমাহীন কর্পোরেট তহবিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নীতি লঙ্ঘন করে কিনা।

 

Comments :0

Login to leave a comment