বীরভূমের মাড়গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হল জখম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ভাই লাল্টু শেখের। রবিবার দুপুরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
রাজ্যের সর্বত্র বোমা বিস্ফোরণ, মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন বামপন্থীরা। তৃণমূলের বিভিন্ন পক্ষকে একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলায় যুক্ত থাকতে দেখা গিয়েছে বারবার।
একদিকে বীরভূমে একের পর এক ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং মাড়গ্রামে বিস্ফোরণে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইসহ ২ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর বদলি করা হয়েছে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে। রবিবার সেই নির্দেশ জারি করেছে নবান্ন। ভাস্কর মুখার্জিকে নতুন এসপি নিয়োগ করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। রাতেই বিস্ফোরণ হয় বীরভূমের মাড়গ্রামে। বোমা ফেটে জখম হন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ভাই, নিহত হন ভাইয়ের বন্ধু। শনিবার রাত দশটা নাগাদ মাড়গ্রাম হাসপাতাল মোড়ে বোমা ফাটার ঘটনাটি ঘটে। বোমার আঘাতে জখম হন মাড়গ্রাম ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ভুট্টো শেখের ভাই লাল্টু সেখ। বন্ধু নিউটন সেখের মৃত্যু হয়। দু’জনকে উদ্ধার করে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতার একাটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় লাল্টু সেখকে।
সেখান থেকে লাল্টুকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এসএসকেএম’র চিকিৎসকরা জানান লাল্টু সেখের অবস্থা সংকটজনক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। দুপুর দেড়টা নাগাদ লাল্টু শেখের মৃত্যু সংবাদ তাঁর পরিবারকে জানান চিকিৎসকরা।
মাড়গ্রামে বোমা বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে রবিবার মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘আগে বলত প্রাণে বাঁচার জন্য তৃণমূলের গেলাম। এখন তারা বলছে প্রাণে বাঁচার জন্য তৃণমূল ছাড়তে হবে। কারণ তৃণমূলে থাকলে সে বাঁচতে পারছে না। বগটুই প্রমাণ। তিনি বলেন, লুটের রাজত্ব চলবে। সেই লুটের বখরা নিয়ে তৃণমূলের খুনোখুনিও চলবে। রাজ্যে যদি খুনোখুনি বন্ধ করতে তৃণমূলকেই বাদ দিয়ে দিতে হবে।
গত মার্চে বগটুইয়ে তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয় পরিবারের সদস্যদের। রাজ্য পুলিশের ডিজি’কে সব অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তা যে হয়নি দেখা গিয়েছে বারবার। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে শিশুদেরও। বারবার তৃণমূলের যোগাযোগও ধরা পড়ছে।
Comments :0