অন্যের নামে জমি যাতে তৃতীয় কাউকে বিক্রি করতে পারে, তার জন্য আইনি উপায় বের করত শাহজাহানের বাহিনী। শাহজাহান বা তার কোনও ঘনিষ্ঠের নামে সম্পত্তি লেনদেনের ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ করে দিতে বাধ্য করা হত সন্দেশখালির জনতাকে। অর্থ পাচার রোধ আইন মামলার বিচারে বিশেষ আদালতে এমন নথিও ইডি পেশ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
জোর করে সন্দেশখালির মানুষদের কাছ থেকে জমি নিজের নামে নানা কায়দায় লিখিয়ে নিত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। বৃহস্পতিবার আদালতে ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে গ্রামবাসীদের ওপর অত্যাচার করে জমির দখল নিতেন শাহজাহান। তারপর তিনি তা চড়া দামে বিক্রি করে সেই টাকার মাত্র কিছু অংশ দিতেন জমির আসল মালিককে, বাকিটা যেত তার পকেটে।
সন্দেশখালি ঘটনার সময় বার বার গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে এসেছেন যে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান লাগাতার অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছে তাঁদের ওপর। জমি ভেড়ি দখল করেছে শাহজাহান, নীরব দর্শক থেকেছে পুলিশ প্রশাসন। তাদের অভিযোগ গ্রামের পুরুষদের এবং মহিলাদের ওপর লাগাতার চলেছে অত্যাচার।
ইডি জানিয়েছে যে জমি দখলের মতো মাছ বিক্রি করার ক্ষেত্রেও নিজের আধিপত্য বজায় রাখত শাহজাহান। মাছ চাষ করলে কার কাছে এবং কত দামে তা বিক্রি করবে তাও ঠিক করে দিতেন তৃণমূলের ওই নেতা।
গত মাসে আদালতে ইডির পক্ষ থেকে যেই চার্জশিট জমা করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে অনৈতিক ভাবে, জমি ভেড়ি দখল করে প্রায় ২৬১ কোটি টাকা রোজগার করেছে শাহজাহান। এখনও পর্যন্ত দখল করা ৫৯.৫ একর জমির সন্ধান পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
Comments :0