বাংলাদেশের সাংসদ খুনের ঘটনায় জিহাদ হাওয়ালদার নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করলো সিআইডি। সূত্রের খবর মুম্বাইয়ে বসবাসকারি ওই ব্যাক্তি নিজের দোষ মেনে নিয়েছেন তদন্তকারিদের কাছে।
তদন্তকারিদের কথায় হাওয়ালদার তাদের জানিয়েছেন যে এই খুনের মূলমাথা বাংলাদেশ বংশভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা আখতারুজ্জামান। তিনি হাওয়ালদার সহ চারজন বাংলাদেশি নাগরিককে নির্দেশ দিয়েছিলেন নিউ টাউনের অ্যাপার্টমেন্টে সাংসদকে খুন করার জন্য।
বুধবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান জানান যে কলকাতার আবাসনে সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার খুন হয়েছে। তদন্তে নেমে সিআইডি আবাসনের ঘর থেকে কিছু প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করেন। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগও দেখতে পাওয়া যায়।
তদন্তকারিরা জানিয়ে ছিলেন সাংসদকে খুন করে দেহ টুকরো করে ফেলা হয়েছে। ধৃত হাওয়ালদারও ওই কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। কোথায় কোথায় দেহাংশ ফেলা হয়েছে তা জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন সিআইডি আধিকারিকরা।
বুধবার ভোরে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীব গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ থকে টানা তিনবারের সংসদ ও কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন আনোয়ারুল আজীম আনার।
সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রউফ জানিয়েছেন, চিকিৎসা ও বন্ধুর মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে গত ১২ মে দর্শনা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান সাংসদ। ১৪ মে পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। গত ১৬ মে সাংসদের মোবাইল থেকে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। কিন্তু তিনি ফোনটি ধরতে পারেনি। পরে তিনি নিজে যখন ফোন করেন তখন তাঁর মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগযোগা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
কলকাতা পুলিশ তাঁর মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে তারা জানতে পারে কলকাতায় বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার মোবাইলের লোকেশন একবার পাওয়া গিয়েছিল নিউমার্কেট এলাকায়। এরপর ১৭ মে তার ফোন কিছুক্ষণের জন্য সচল ছিল বিহারের কোনও এক জায়গায়।
Comments :0