ECL worker Dead

ইসিএল’এ কর্মরত শ্রমিকের মৃত্যু

রাজ্য

শুক্রবার ইসিএল’র পান্ডবেশ্বর এরিয়ার খোট্টাডি ২ নম্বর পিট কোলিয়ারির খনিগর্ভে কর্মরত অবস্থায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। মৃতের নাম মহিমারঞ্জন মোদক(৫৯)। পেশায় ছিলেন টেলিফোন অপারেটার। কয়লা পরিবাহী কনভেয়ার বেল্টে জড়িয়ে যান। বেল্টের মধ্যে ঘষড়ে খনির ওপরে বাঙ্কার পর্যন্ত তার দেহ চলে আসে। সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 
দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে খনিতে তীব্র শ্রমিক বিক্ষোভ ছড়ায়। কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুকে আড়াল করে কৌশলে এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করে। একই কৌশল নেওয়া হয়েছিল সেন্ট্রাল কাজোড়া কোলিয়ারিতে দুর্ঘটনায় কর্মরত এক শ্রমিকের মৃত্যুতে। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক ঘটনাস্থলে এসে হস্তক্ষেপ করায় এদিন দুই ঘন্টার মধ্যে কর্তৃপক্ষ মৃত শ্রমিকের আশ্রিতের চাকরি সহ ক্ষতিপূরণের বিষয়ে চুক্তি করেছে। 
কয়লা শ্রমিক নেতা,  প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী ইসিএল’র সিএমডি’র কাছে চিঠি পাঠিয়ে দুর্ঘটনার পক্ষপাতহীন নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি খেদের সঙ্গে বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর সেন্ট্রাল কাজোড়া কোলিয়ারিতে কর্মরত অবস্থায় এক শ্রমিকের ডাম্পারের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়। এখানে সিআইটিইউ ইউনিয়ন শক্তিশালী। সিআইটিইউ’র নেতৃত্বে শ্রমিকরা মৃত শ্রমিকের আশ্রিতের চাকরি ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানালে কর্তৃপক্ষ আত্মহত্যার গল্প ফেঁদে তাদের দায় এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে। প্রতিবাদে ৪৮ ঘন্টা লাগাতার আন্দোলন হয়। আন্দোলনে সেন্ট্রাল জামবাদ, জামবাদ ওসিপি ও জামবাদ কোলিয়ারির উৎপাদন স্তব্ধ হয়ে যায়। প্রতিবাদের মুখে কর্তৃপক্ষ অনেক দেরিতে মৃতের আশ্রিতের চাকরির দাবি মেনে নেয় কিন্তু আজ অবধি পর্যাপ্ত ক্ষতিপুরণ দেয়নি। বংশগোপাল চৌধুরী এহেন দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কাজের জায়গায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। একজন টেলিফোন অপারেটার কী করে চালু কনভেয়ার বেল্টে জড়িয়ে যায় এই প্রশ্ন তিনি তুলেছেন। বেল্টের কাছে প্রয়োজনীয় ফেনসিং ছিলনা। একজন বেল্টে পড়ে যাবার পরও দীর্ঘ সময় বেল্ট চালু থাকায় প্রশ্ন উঠেছে। 

Comments :0

Login to leave a comment