Gaza Khan Younis Hospital

ধ্বংসের মুখে গাজার আরও ২ হাসপাতাল, গুলি ত্রাণের সারিতে

আন্তর্জাতিক

আল নাসের হাসপাতালে আর্তদের এখন এই শয্যাও নেই।

গাজার দুই হাসপাতাল ঘিরে ফেলে সমানে বোমা ছুঁড়ছে ইজরায়েল। ত্রাণ নিতে আসা মানুষের ওপর চালাচ্ছে গুলি। পরিষ্কার গণহত্যা চলছে গাজায়। কেবল ২৪ ঘন্টায় অন্তত ৫০ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ।
বৃহস্পতিবার গাজার দক্ষিণ অংশের খান ইউনিসের দু’টি হাসপাতাল এবং সংলগ্ন এলাকায় বিমান থেকে বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলের সেনা এখন বলছে, খান ইউনিসেই হামাসের মূল ডেরা। হামলা চালানো হচ্ছে হামাসকে খতম করার জন্য। 
এর আগে উত্তর অংশ কে বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যেতে বলেছিল ইজরায়েলের বাহিনী আইডিএফ। তখন বলা হয়েছিল হামাস যোদ্ধারা রয়েছে গাজা ভূখণ্ডের উত্তর অংশে। তখনই হামলা চলেছে হাসপাতালে। 
খান ইউনিসে উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যা গত কয়েকমাসে লাফিয়ে বেড়েছে। চরম অস্বাস্থ্যকর শিবিরে থাকতে হচ্ছে এই প্যালেস্তানীয়দের। সেখানেই এখন পড়ছে বোমা। 
ইজরায়েলের হামলা আসলে প্যালেস্তেনীয়দের মুছে ফেলতে তা স্পষ্ট করছে একাধিক ভিডিও। তার একটিতে দেখা যাচ্ছে ত্রাণের বস্তা কাঁধে নিয়ে ফেরার সময় ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত মানুষের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করে চলছে গুলি। হুড়োহুড়িতে অনেকে পড়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ উঠে পড়ছেন গাধায় টানা শকটে, কারণ গাজায় আর কোনও পরিবহণ আস্ত প্রায় নেই। 
এই মানবিক বিপর্যয়েই খেদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক রেড ক্রসও। মাত্র ৬০ বর্গফুট ক্ষেত্রফল গাজার। গাদাগাদি করে বাস ছিল প্রায় ২৩ লক্ষ প্যালেস্তানীয়ের। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি ৯ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। নিজেদের ২২০ সেনা নিহত। রেড ক্রস বলছে, ১৫ লক্ষ মানুষ আরও ছোট জায়গায় চলে আসতে বাধ্য হয়েছে। এবার তার এপরও বোমা পড়ছে, পরিণাম ভয়াবহ। 
প্যালেস্তাইনের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, গোটা শহরে মাত্র কয়েকটা হাসপাতাল তবু চলছিল। তার মধ্যে খান ইউনিসের এই দুই হাসপাতাল ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। নাসেরএবং আল আমেল হাসপাতালের রোগী, মেডিক্যাল টিম সবাই বিপন্ন। নিজেদের ঘর হারিয়ে বহু মানুষ হাসপাতালের ছাদের নিচে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। বোমা ফেলা হয়েছে তাদের ওপরও। 
অতীতের অবস্থান থেকে ঘুরে গিয়ে ইজরায়েলের অতি দক্ষিণপন্থী সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারত। মদত আমেরিকার। যুদ্ধবিরতির দাবিতে সারা বিশ্ব যখন উত্তাল, কূটনৈতিক সংযোগ ব্যবহার করে তখনও সক্রিয়তার স্পষ্ট অভাব দেখাচ্ছে ভারত। কয়েকদফায় রাষ্ট্রসঙ্ঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভোট না দিয়ে সরে থেকেছে ইজরায়েলের স্বার্থে।

Comments :0

Login to leave a comment