অবশেষে শুনানী হল। তবে জট কাটল না। ফের ধার্য হল শুনানীর দিন। অমর্ত্য সেনের জমি সংক্রান্ত মামলায় সিউড়ি আদালতে ফের শুনানী হবে ১৩ জুন। সিউড়ি আদালতে মঙ্গলবার শুনানীতে বিশ্বভারতীর তরফে পেশ করা হয় বিত্ত আধিকারিকের জারি করা বিজ্ঞপ্তি। যাতে অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবি। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক আগামী ১৩ জুন ফের এই মামলার শুনানীর দিন ধার্য করেছেন।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন অতিরক্ত ১৩ দশক জমি দখল করে রেখেছেন। এই অভিযোগ তুলে বারংবার চিঠি করার পর অমর্ত্য সেন জমি খালি না করলে তাঁকে আইন মেনে উচ্ছেদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিদেশে থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে জমি বেদখল হয়ে যেতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে সিউড়ি আদালতের দ্বারস্থ হন অমর্ত্য সেন। পরবর্তীতে অমর্ত্য সেনের আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট বিশ্বভারতী নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। পাশাপাশি ১০ মে সিউড়ি জেলা আদালতের প্রধান বিচারককে এই মামলা শোনার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু সেদিন বিচারক অনুপস্থিত থাকায় হয়নি শুনানী। পরিবর্তে মঙ্গলবার হয়েছে সেই শুনানী।
আদালতের জেলা ও দায়রা বিচারক সুদেষ্ণা দে চ্যাটার্জির এজলাসে হওয়া সেই শুনানী। বিশ্বভারতীর আইনজীবির তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিত্ত আধিকারিরে জারি করা গেজেট নোটিফিকেশন পেশ করা হয় আদালতে। তার পালটা অমর্ত্য সেনের আইনজীবি বিত্ত আধিকারিকের এই বিজ্ঞপ্তি জারি করার এক্তিয়ার আছে কি না তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন ? বিজ্ঞপ্তিকেই চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। দুইপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক মামলার পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন।
অমর্ত্য সেনের আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, "হঠাৎ করে একটা গ্যাজেট নোটিফিকেশন পেশ করা হল! কি বৈধতা আছে তার ? আমরা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছি৷’’ অপরদিকে বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস বলেন, "যেহেতু হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আছে৷ তাই বিভিন্ন ভাবে মামলার নিষ্পত্তিকে বিলম্ব করার কৌশল নিচ্ছে বিপক্ষ। পরবর্তী শুনানিতে দেখা যাবে।
Comments :0